২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

কোচিং সেন্টারের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার চেয়ে আবেদন করবেন মালিকরা

এসএসসি পরীক্ষার সময়ে অন্য শ্রেণীর কোচিং বন্ধের যুক্তি নিয়ে প্রশ্ন
-

পাবলিক পরীক্ষার সময়ে সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার সরকারের ঘোষণায় উদ্বেগ জানিয়েছেন মালিকরা। তারা সরকারের এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার চেয়ে আবেদন করবেন। আগামী সপ্তাহেই কোচিং সেন্টার মালিকদের সংগঠন ‘অ্যাসোসিয়েশন অব শ্যাডো এডুকেশন বাংলাদেশ’ (অ্যাসেব) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আবেদন করবে বলে জানিয়েছেন যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুব আরেফিন।
গতকাল সোমবার নয়া দিগন্তকে তিনি জানিয়েছেন, এসএসসি পরীক্ষার সময়ে বিসিএস বা ল্যাংগুয়েজ কোচিং কিংবা অন্যান্য জব কোচিং বন্ধ রখার কোনো যুক্তি থাকতে পারে না। তারপরেও সরকারের কাছে আমরা আবারো আবেদন করব, যাতে সরকারের এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়। শিক্ষামন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে ‘অ্যাসেব’ নেতৃবৃন্দ বলেছেনÑ ফ্রিল্যান্সারদের দ্বারা পরিচালিত কোচিং সেন্টারগুলো একটি নীতিমালার আওতায় নিয়ে এসে আমরা পরিচালনা করতে চাই। জাতির বৃহত্তর স্বার্থে এবং কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে একটি নীতিমালার আওতায় এনে কোচিং সেন্টার বা ছায়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালনায় সহায়তা করার পাশাপাশি পাবলিক পরীক্ষার সময়েও এগুলো খোলা রাখার অনুমতি চান তারা।
উল্লেখ্য, প্রশ্নপত্র ফাঁসের আশঙ্কায় গত দুই বছর ধরে পাবলিক পরীক্ষার সময় একযোগে সব কোচিং সেন্টার বা ছায়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে সরকার একটি নির্বাহী আদেশ জারি করে; কিন্তু কোচিং সেন্টারগুলো বন্ধ রাখার পরেও দেখা গেছে প্রশ্নপত্র ফাঁস থেমে থাকেনি। যদিও পরবর্তী সময়ে সরকারের কিছু সংস্কারমূলক কার্যক্রমের কারণে প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধ করা সম্ভব হয়েছে। সরকারের সংস্কারমূলক উদ্যোগের মধ্যে ছিলÑ প্রশ্নপত্র পরিবহনের সময়ে গাড়িতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতি, প্রশ্নপত্র প্যাকেজিংয়ের কাজে কাগজের প্যাকেটের পরিবর্তে ফয়েল প্যাকেটের ব্যবস্থা, পরীক্ষার কেন্দ্রে মোবাইল ফোনের ব্যবহার নিষিদ্ধ, পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টা আগে পরীক্ষার্থীদের হলে প্রবেশ করানো ইত্যাদি। অর্থাৎ কোচিং সেন্টার খোলা বা বন্ধ নয়; সরকারের এসব উদ্যোগ নেয়ার কারণেই প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধ করা সম্ভব হয়েছে।
সম্প্রতি এসএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতিমূলক সভায় শিক্ষামন্ত্রী ডা: দীপু মনি পাবলিক পরীক্ষার সময়ে আবারো কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন। ফলে কোচিং সেন্টার মালিকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। তারা সরকারের এই ঘোষণা প্রত্যাহার চেয়ে এবং কোচিং সেন্টার খোলা রাখার অনুমতি চেয়ে আবেদন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
অন্য দিকে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অজুহাতে কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার যে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে তার জবাবে মালিকরা বলেছেনÑ ফ্রিল্যান্সারদের দ্বারা পরিচালিত কোচিং সেন্টার খোলা রাখলেও এর সাথে জড়িত শিক্ষক বা কর্মকর্তারা কেউই কোনোভাবে প্রশ্ন মুদ্রণ, সংরক্ষণ, পরিবহন বা বিতরণের সাথে জড়িত নন। কাজেই প্রশ্নপত্র ফাঁসের সাথে আমাদের কোচিং সেন্টার মালিকদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
অ্যাসেবের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদুল হাসান নয়া দিগন্তের কাছে তার নিজস্ব একটি বিশ্লেষণও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ২০১৮ সালে এসএসসি পরীক্ষা চলার সময়ে দেশের সব কোচিং সেন্টার বন্ধ ছিল; কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল ওই বছরও প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে। আবার একই বছরে সরকার বেশ কিছু উদ্যোগ নেয়ার কারণে এইচএসসি পরীক্ষাতে কিন্তু প্রশ্ন ফাঁস হয়নি। সর্বশেষ ২০১৯ সালে পিইসি পরীক্ষার সময়ে কোচিং সেন্টারগুলো খোলা ছিল; কিন্তু এ বছরও কোনো প্রশ্ন ফঁাঁসের ঘটনা ঘটেনি। কাজেই প্রশ্ন ফাঁস রোধ করার জন্য অনেক উপায় আছে। কোচিং সেন্টার বন্ধ করা কোনো সমাধান নয়। আবার প্রশ্ন ফাঁসের জন্য অনেক সময় ফেসবুক ব্যবহারকারীকে দায়ী করা হয়। কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকলেও ফেসবুক কিন্তু বন্ধ করা যায় না। কাজেই এই যুক্তিতেও কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার কোনো কারণ দেখছি না। যুক্তির খাতিরে যদি ধরে নিলাম কেউ কোনো অপরাধ করল, তাই বলে একজনের অপরাধে সবাইকে শাস্তি দেয়াটাও বোধ হয় সঠিক বিচার হবে না। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি অ্যাসেবের পক্ষ থেকে আমরা আমাদের বক্তব্য সরকারের কাছে তুলে ধরে কোচিং সেন্টারগুলো খোলা রাখার অনুমতি চেয়ে আবেদন জানাব।


আরো সংবাদ



premium cement
ঢাবির কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটে প্রথম হয়েছেন যারা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত ইন্টার্ন চিকিৎসকদের নিজ দেশে ৫ বছর পর ফিরল দিপক চট্টগ্রামে ৬ কিশোর গ্যাংয়ের ৩৩ সদস্য আটক শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের জন্য সংগঠন মজবুত করতে হবে : শামসুল ইসলাম ইউরো ২০২৪’কে সামনে রেখে দল নির্বাচনে বিপাকে সাউথগেট ভারতীয় পণ্য বর্জনকে যে কারণে ন্যায়সঙ্গত বললেন রিজভী মাকে ভরণ-পোষণ না দেয়ায় শিক্ষক ছেলে গ্রেফতার প্রথম বাংলাদেশী আম্পায়ার হিসেবে আইসিসির এলিট প্যানেলে সৈকত ঢাবির সব ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ নিরাপত্তা-বিষয়ক আলোচনা করতে উত্তর কোরিয়ায় রুশ গোয়েন্দা প্রধান

সকল