২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`
মাদরাসায় হামলার প্রতিবাদ

কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণার দাবিতে উত্তাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাদরাসায় হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ : নয়া দিগন্ত -

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কাদিয়ানি গোষ্ঠী কর্তৃক তাহাফফুজে খতমে নবুয়্যত মাদরাসা দখলের চেষ্টা ও মাদরাসা ছাত্রদের উপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে তাওহিদি জনতা। হামলার বিচার ও কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণার দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর উত্তাল হয়ে উঠছে।
কাদিয়ানিদের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ও তাদেরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণার দাবিতে গতকাল সোমবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের মেড্ডা থেকে কাউতলী পর্যন্ত প্রায় পাঁচ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিশাল মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলার বিভিন্ন কওমি মাদরাসার ছাত্র, শিক্ষক ও ওলামা-মাশায়েখ ছাড়াও সর্বস্তরের তাওহিদি জনতা এতে অংশ নেয়। এক পর্যায়ে মানববন্ধন রূপ নেয় বিক্ষোভ মিছিলে। এ সময় তাওহিদি জনতার মুহুর্মুহু আল্লাহু আকবার ধ্বনি ও কাদিয়ানী বিরোধী স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে পুরো শহর। মানববন্ধন শেষে মাদরাসায় হামলাকারীদের বিচার, জেলায় কাদিয়ানিদের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ও তাদেরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘাষণার দাবিতে জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
আল্লামা শায়খ সাজেদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তৃতা করেন আল্লামা আশেকে ইলাহী ইব্রাহিমী, আল্লামা শায়খ আব্দুর রহমান কাশেমী, আল্লামা শায়খ মনিরুজ্জামান সিরাজী, হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ ইদ্রিস, মাওলানা জহিরুল ইসলাম, মাওলানা মেরাজুল হক কাসেমী, মুফতি মাজহারুল হক কাসেমী, মাওলানা বোরহান উদ্দিন আল মতিন ও মুফতি শায়খ উবায়দুল্লাহ প্রমুখ।
এ মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, কাদিয়ানি সম্প্রদায় ইসলামের দুশমন, নবীর দুশমন, আল্লাহর দুশমন। এরা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের দুশমন। এদের সাথে ইসলামের কোনো সম্পর্ক নেই। সারা বিশ্বের আলেমদের সর্বসম্মত ফতোয়ায় কাদিয়ানিরা অমুসলিম ও কাফের। বক্তারা আরো বলেন, ব্রাহ্মহ্মণবাড়িয়ায় মাদরাসার ছাত্রদের উপর সন্ত্রাসী হামলা প্রমাণ করে কাদিয়ানিরা সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। এ হামলার মাধ্যমে তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে। দিনে দিনে নবীর সা:-এর দুশমন কাদিয়ানিদের আস্ফালন সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। তাই অবিলম্বে এই সব সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি আওতায় আনা দেশের মুসলমানদের প্রাণের দাবি। অবিলম্বে এ দাবি মেনে নেয়া না হলে হরতালসহ কঠোর কর্মসূচির হুমকি দেয়া হয় মানববন্ধন থেকে।
মানববন্ধন শেষে আল্লামা শায়খ আব্দুর রহমান কাশেমীর নেতৃত্বে জেলার শীর্ষ স্থানীয় আলেমরা জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেন।
গত ১৫ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কান্দিপাড়ায় কাদিয়ানি ও কওমি মাদরাসার ছাত্রদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে বেশ কয়েকজন কওমি মাদরাসার ছাত্র আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। কওমি মাদরাসার ছাত্রদের দাবি কাদিয়ানিরা শহরের কান্দিপাড়া তাহাফফুজে খতমে নবুয়ত মাদরাসা দখল করার অপচেষ্টা করলে তারা তা প্রতিহত করেছেন।


আরো সংবাদ



premium cement