২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

পর্যটন শিল্পের অপার সম্ভাবনা সোনাগাজীর মুহুরী প্রজেক্ট

-

ফেনীর সোনাগাজীর মুহুরী প্রজেক্ট পর্যটন শিল্পের এক অপার সম্ভাবনাময় স্থান। এটি দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সেচ প্রকল্প। প্রায় ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৯৮২ সালে নির্মিত মুহুরী সেচ প্রকল্পের ৪০ গেটবিশিষ্ট রেগুলেটর ও ক্লোজার ড্যামটি দেখতেও বেশ আকর্ষণীয়। এ ছাড়া রয়েছে নদীর পাড়ে সবুজ বনানী ঘেরা মায়াবী পরিবেশ। শীতকালে অতিথি পাখির আগমন ও তাদের কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। পর্যটকদের পদভারে সরগরম হয়ে ওঠে এলাকাটি। প্রকৃতির টানে যে আসে তাকেই মুগ্ধ করে এখানকার প্রকৃতি। নদীর পানিতে সূর্যোদয় ও সূর্যা¯েÍর নয়নাভিরাম দৃশ্য পর্যটকদের আকৃষ্ট করে দারুণভাবে। এই সেচ প্রকল্প এলাকায় চার পাশে রয়েছে সবুজের সমারোহ। নদীতে নৌকার সারি, মাছ ধরা ও নৌকা ভ্রমণের দৃশ্য ভ্রমণপিয়াসী মানুষদের আকৃষ্ট করে। মুহুরী সেচ প্রকল্পের ৫০০ গজ দূরে অবস্থিত দেশের প্রথম বায়ু বিদ্যুৎকেন্দ্র, যা ৬ একর ভ‚মির উপর ৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০০৫ সালে স্থাপন করা হয়। বঙ্গোপসাগরের উপক‚লে এ এলাকায় চিত্তাকর্ষক নৈসর্গিক শোভা ও মনোমুগ্ধকর অসংখ্য দৃশ্য বিদ্যমান। এর ৫ কিলোমিটার দক্ষিণে নির্মিত হচ্ছে দেশের সর্ববৃহৎ অর্থনৈতিক অঞ্চল।
এখানে পর্যটকদের নিরাপত্তা জোরদার করতে স্থাপন করা হয়েছে পুলিশ ফাঁড়ি। মুহুরী নদীতে ব্যক্তিগত উদ্যোগে ভাসমান মাচ চাষ, জেলেদের মাছ ধরার দৃশ্য, দেশের প্রথম বায়ু বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র, পরিকল্পিত মাছ চাষ, ডেইরি ফার্ম, ব্যক্তিগত পর্যায়ে নার্সারি ও অ্যাগ্রো খামার ইত্যাদির দৃশ্য চোখ জুড়িয়ে দেয়। জীবন-জীবিকার তাগিদে খেটে খাওয়া মানুষের হরেক রকম জীবনকর্মের দৃশ্যও দেশের অন্য অঞ্চলের মানুষের থেকে একটু ভিন্ন। নদীতে জাল ফেলে নোনা পানিতে ভেসে চিংড়ি পোনা সংগ্রহের দৃশ্যে সবার নজর কাড়ে। প্রকৃতি আর মানুষের ভালোবাসা, আতিথেয়তা যেকোনো পর্যটকের মনে থাকবে বহুকাল। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর পর্যটনকেন্দ্র বা নগরী হিসেবে গড়ে ওঠার কথা থাকলেও সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা বা ব্যক্তিগত উদ্যোক্তাদের সদিচ্ছার অভাবে এ অঞ্চলে কাক্সিক্ষত পর্যটনকেন্দ্র গড়ে উঠেনি। গড়ে উঠেনি হোটেল-মোটেল ও পর্যটকদের চাহিদা পূরণ করার মতো দোকানপাট, মার্কেট। প্রকৃতির টানে ছুটে আসা পর্যটকদের হৃদয় কাড়লেও থাকাখাওয়ার সুব্যবস্থার অভাবে অনেককে নিরাশ হতে হন। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় আধুনিক একটি পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠলে এ থেকে সরকারের কোটি কোটি টাকা রাজস্ব আয় হতো বলে দাবি করেন স্থানীয়রা।
মানসম্মত থাকাখাওয়ার হোটেলের পাশাপাশি পরিবহনের সংখ্যা ও মানবৃদ্ধি, পর্যটন কেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, এলাকা ও স্থাপনাগুলো মনোরমভাবে সাজানো ও রক্ষণাবেক্ষণ, সোনাগাজী ও চট্টগ্রাম অঞ্চল থেকে মানুষের যাতায়াত সহজ করা ইত্যাদি নানা ক্ষেত্রে উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ সোনাগাজীর এ পর্যটন শিল্পকে এক অন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারে। আর পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটাতে পারলে এখানে অনেক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এ ব্যাপারে ফেনী-৩ সোনাগাজী-দাগনভ‚ঞা আসনের এমপি লে. জে (অব:) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী জানান, সরকারিভাবে পর্যটন কেন্দ্র ঘোষণা এবং অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য ডিও লেটার দেয়া হয়েছে। আমরা খুব শিগগিরই মুহুরী প্রকল্প এলাকাকে পর্যটন এলাকা হিসেবে ঘোষণা করব।
সোনাগাজী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন মাহমুদ লিপটন জানান, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিদিন প্রকল্প এলাকায় শত শত লোক ও প্রতিষ্ঠান মুহুরী প্রজেক্ট এলাকার প্রাকৃতিক মনোরম দৃশ্য উপভোগ করতে আসে। অপার সম্ভাবনাময় এলাকাটি সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে সরকারের রাজস্ব আয় বাড়ার পাশাপাশি এলাকার বেকার লোকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হতো।

 


আরো সংবাদ



premium cement
কেএনএফ সম্পৃক্ততা : গ্রেফতার ছাত্রলীগ নেতা সম্পর্কে যা জানা গেছে দেশে টিআইএনধারীর সংখ্যা ১ কোটি ২ লাখ শ্রমজীবি মানুষের মাঝে ক্যাপ, পানি ও স্যালাইন বিতরণ করেছে ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগর পশ্চিম নোয়াখালীতে হিট স্ট্রোকে শিক্ষার্থীর মৃত্যু বাবার বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ায় স্ত্রীর ২৭ স্থানে স্বামীর ধারালো অস্ত্রের আঘাত তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে ১২ উপজেলায় মানববন্ধন রোববারই খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শনিবার ক্লাসসহ ৪ নির্দেশনা ময়মনসিংহ ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের ঈদ পুনর্মিলনী বাস্তবায়নের আহ্বান ৩ গণকবরে ৩৯২ লাশ, ২০ ফিলিস্তিনিকে জীবন্ত কবর দিয়েছে ইসরাইল! মৌলভীবাজারে বিএনপি ও যুবদল নেতাসহ ১৪ জন কারাগারে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট কারীদের চিহ্নিতকরণ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি ১২ দলীয় জোটের

সকল