১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

টঙ্গীতে গণপিটুনীতে পুলিশের সোর্স নিহত

পোশাকশ্রমিকের লাশ উদ্ধার
-

গাজীপুর মহানগরের টঙ্গীর চানকির টেকে গতকাল রোববার রাতে গণপিটুনীতে সেলিম মিয়া (৩৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে।
স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফারুক হোসেন জানান, নিহত সেলিম পুলিশের সোর্স হিসেবে এলাকায় পরিচিত ছিল। তাকে শনিবার রাত ৩টায় ছিনতাইকারী সন্দেহে আটক করে স্থানীয় জনতা। পরে গণপিটুনীতে রাতে তার মৃত্যু হয়। সেলিম মুন্সিগঞ্জ জেলার টঙ্গীবাড়ি থানার বেসনাল এলাকার মৃত আবুল কাসেমের ছেলে। তিনি টঙ্গীর এরশাদ নগর পুনর্বাসন এলাকার ৪ নম্বর ব্লকে সপরিবারে বাস করতেন। স্থানীয়রা জানান, সেলিমের বিরুদ্ধে এরশাদনগরসহ টঙ্গীর বিভিন্ন বাসাবাড়িতে গ্রিলকেটে ও তালা ভেঙে চুরির অভিযোগ রয়েছে। রোববার রাত সাড়ে ৩টার দিকে সে চানকিরটেক এলাকায় গ্রিলকেটে চুরি করতে গেলে এলাকাবাসী ধাওয়া দিয়ে তাকে আটক করে এবং গণপিটুনী দেয়। একপর্যায়ে তাকে গাছের সাথে বেঁধে রাখলে ভোর ৫টার দিকে সে মারা যায়।
নিহতের স্ত্রী নাজমা আক্তার বলেন, আমার স্বামী চোর নয়। সে রাতে ৫০০ টাকা নিয়ে একজন সোর্সের সাথে দেখা করার জন্য বাসা থেকে বের হয়ে যায়। তাকে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ইমান আলী, জীবন দাস ও সোহেল বাবুর নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা পরিকল্পিতভাবে পিটিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। পিটুনির একপর্যায়ে সে পানি খেতে চাইলে তাকে পানিও দেয়া হয়নি। আমি আমার স্বামী হত্যার বিচার চাই।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি মো: কামাল হোসেন বলেন, নিহত সেলিম সোর্স পরিচয়ে আকাম-কুকাম করে বেড়াত, সে লোক সুবিধার না। এ ব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন বলেও তিনি জানান।
এ দিকে টঙ্গীর আরিচপুর এলাকায় খাদিজা আক্তার (২২) নামে এক পোশাক শ্রমিকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। খাদিজা কিশোরগঞ্জ নিকলী থানার আইল্লা পাড়ার মো: হারিস মিয়ার মেয়ে। বিয়ের পর গত চার বছর ধরে টঙ্গীর আরিচপুর সিদ্দিক মিয়ার ভাড়া বাড়িতে সে থাকত। জানা গেছে, গত কয়েক দিন ধরে স্বামী-স্ত্রীর সাথে কথাকাটাকটি হয়ে আসছিল।
টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি জানান, নিহত দু’জনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরো সংবাদ



premium cement