২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

দেশে বছরে সাপের দংশনের শিকার হয় ৭ লাখ : মারা যায় ৬ হাজার

-

বাংলাদেশে প্রতি বছর সাত লাখ মানুষ সাপের দংশনের শিকার হয় এবং মারা যায় ছয় হাজার। আবার প্রতি এক লাখ মানুষের মধ্যে ৬২৩ জন সাপের দংশনে আক্রান্ত হয়। এর মধ্যে ১০ থেকে ৪৫ শতাংশ বিষধর সাপের দংশনে। এতে মৃত্যু হয়ে সর্বোচ্চ ২২ শতাংশ। বিষধর সাপের মধ্যে জাতসাপ, গোখরা ও গোখরা জাতীয় কয়েক প্রজাতি অন্যতম। বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা: এম এ ফয়েজ বলেন, সাপের বসবাসের জন্য জায়গার অভাব হওয়া, জনসংখ্যার ঘনত্ব বেড়ে যাওয়া, কৃষি ভূমির সম্প্রসারণ এবং সাপের দংশনের সঠিক চিকিৎসার অভাবে মানুষ মারা যাচ্ছে। আবার সাপের দংশনে আক্রান্ত মানুষের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে গ্রামের দরিদ্র শ্রেণীর মানুষ। বাংলাদেশে গ্রামাঞ্চলে এখনো সাপের দংশনে মানুষ আধুনিক হাসপাতালে না গিয়ে প্রথমেই ওঝা অথবা কবিরাজের কাছে ছুটে যায়। ওঝা ও কবিরাজের অবৈজ্ঞানিক চিকিৎসার কারণে বেশির ভাগ আক্রান্ত মারা যায়। শেষ পর্যন্ত এদের হাসপাতালে নেয়া হলে তাদের বাঁচানো যায় না।
সাপের দংশনে বেশির ভাগই মারা যায় হাসপাতালে নেয়ার আগেই। বাংলাদেশে যুগ যুগ ধরে সাপের দংশনে মানুষ প্রথম ছুটে যায় ওঝাদের কাছে। মানুষের মধ্যে ভুল ধারণা দূর করা এবং চিকিৎসক ও সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে বাংলাদেশে সাপের দংশনের চিকিৎসা ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে ইতোমধ্যে একটি গাইডলাইন তৈরি করা হয়েছে অধ্যাপক এম এ ফয়েজের নেতৃত্বে।
বন্যার সময় বাংলাদেশে মোট মৃত্যুর দ্বিতীয় কারণ সাপের দংশনে। বাংলাদেশে ৮২ ধরনের সাপ পাওয়া যায়। এর মধ্যে ২৭ প্রজাতির সাপ বিষধর এবং ছয় প্রজাতির সাপ মানুষের জন্য বড় উদ্বেগের কারণ। সাপ সাধারণত মানুষের বসবাসকৃত এলাকা থেকে অনেক দূরে বাস করে। কিন্তু বন্যার সময় এরা মানুষের কাছাকাছি চে ল আসে। মানুষের কাছাকাছি চলে আসায় আপাত নিরীহ এ প্রাণীটি মানুষকে দংশন করে থাকে।
স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২০১৮ সালে বিভাগীয় শহরের সব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ৩৫২ জন চিকিৎসককে সাপের দংশনের চিকিৎসা ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। দেশব্যাপী সাপের দংশনে মৃত্যু কমানোই এর লক্ষ্য।
বিশ্বে সাপের দংশনে বছরে ৮০ হাজার মানুষ মারা যায় বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য থেকে জানা গেছে। এর বাইরে চার লাখ মানুষ প্রতিবন্ধী হয়ে যায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২০৩০ সালের মধ্যে একটি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে অ্যান্টি ভেনম (সাপের দংশনের ওষুধ) ও এর নিরাপদ চিকিৎসার ব্যবস্থা করা।
উল্লেখ্য, সাপের দংশনে বাংলাদেশ কিংবা বিশ্বের অন্যান্য দেশে যে পরিসংখ্যান পাওয়া যায় তা অনেকটা অনুমাননির্ভর এবং হাসপাতালের বাইরে যারা মারা যায় তাদের বেশির ভাগই সরকারিভাবে সংরক্ষিত মৃত্যুর তালিকায় থাকে না। বিষধর সাপের দংশনে সবচেয়ে বেশি মারা যায় সাব-সাহারান আফ্রিকা, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায়। এসব দেশে সাপের দংশনের চিকিৎসা ও ওষুধ সহজলভ্য নয়। সাপের দংশনের ওষুধ ও চিকিৎসা সব সময় এবং সব জায়গায় মজুদ থাকায় যুক্তরাষ্ট্রে বছরে মাত্র পাঁচজনের মতো মারা যায় সাপের দংশনে। অন্যান্য অনেক উন্নত দেশে মৃত্যুর কোনো তথ্য নেই।


আরো সংবাদ



premium cement
‘প্রত্যেককে কোরআনের অনুশাসন যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে’ মতলব উত্তরে পানিতে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের শেষ ধাপের পরীক্ষা শুক্রবার লম্বা ঈদের ছুটিতে কতজন ঢাকা ছাড়তে চান, কতজন পারবেন? সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ত্যাগ করলেন ভুটানের রাজা জাতীয় দলে যোগ দিয়েছেন সাকিব, বললেন কোনো চাওয়া-পাওয়া নেই কারওয়ান বাজার থেকে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে ডিএনসিসির আঞ্চলিক কার্যালয় এলডিসি থেকে উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে কার্যকর পদক্ষেপ নিন : প্রধানমন্ত্রী নারায়ণগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি আহসান উল্লাহ ‘ট্রি অব পিস’ পুরস্কার বিষয়ে ইউনূস সেন্টারের বিবৃতি আনোয়ারায় বর্তমান স্বামীর হাতে সাবেক স্বামী খুন, গ্রেফতার ৩

সকল