১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`
বিক্ষোভে সহপাঠীদের অভিযোগ

রুম্পাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে

-

রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীতে স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী রুবাইয়াত শারমিন রুম্পাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করছেন তার সহপাঠীরা। তারা বলছেন, রুম্পা হত্যার তিন দিন পার হলেও প্রশাসন তার কোনো কুলকিনারা করতে পারছে না। এ হত্যার সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান শিক্ষার্থীরা। গতকাল শনিবার দ্বিতীয় দিনের মতো স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সির সিদ্ধেশ্বরী ও ধানমন্ডি ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করেন। তাদের দাবি, রুম্পা হত্যার বিচারের এ বিক্ষোভ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছড়িয়ে যাক।
কর্মসূচিতে রুম্পার সহপাঠীরা বলেন, আর যেন কোনো রুম্পাকে এভাবে মরতে না হয়। এ ধরনের হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক বিচার হচ্ছে ফাঁসি। না হলে এই হত্যাকাণ্ড চলতেই থাকবে। এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষার্থীরা বলেন, এটি হত্যাকাণ্ড। যদি কোনো কারণে রুম্পা আত্মহত্যাই করবে তাহলে তার বাসা থেকে আধা-কিলোমিটার দূরে সিদ্ধেশ্বরীতে যাবে কেন? তার বাসায় ছাদ ছিল না? সেখান থেকে লাফিয়ে পড়তে পারত না। হত্যাকারীরা রুম্পকে সেখানে নিয়ে ধর্ষণের পর হত্যা করেছে বলে আমাদের মনে হচ্ছে। এটাকে নুসরাত হত্যার মতো ভিন্ন খাতে নেয়ার চেষ্টা করা হলে জোর প্রতিবাদ জানানো হবে।
এ দিকে গতকাল রাতে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রুম্পার মৃত্যু রহস্য উদঘাটনে পুলিশের পক্ষ থেকে নতুন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রুম্পার মোবাইল ফোন ট্র্যাক করা হচ্ছে। তার সাথে কার কী ধরনের কথা হয়েছে সে ব্যাপারে তদন্ত করা হচ্ছে। তবে এখনই মৃত্যু নিয়ে তেমন কোনো মন্তব্য করা যাচ্ছে না। গত বুধবার রাত পৌনে ১১টার দিকে সিদ্ধেশ্বরীর ৬৪/৪ নম্বর বাসার নিচে স্ট্যামফোর্ট ইউনিভার্সিটির ছাত্রী রুম্পার লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। যে জায়গায় এ ঘটনা, তার আশপাশে ছেলে ও মেয়েদের বেশ কিছু হোস্টেল রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। রুম্পার বাবা নাম রোকন উদ্দিন হবিগঞ্জ এলাকায় পুলিশ ইন্সপেক্টর হিসেবে কর্মরত। বাড়ি ময়মনসিংহ জেলায় হলেও তারা রাজধানীর মালিবাগ শান্তিবাগ এলাকায় থাকতেন।

 


আরো সংবাদ



premium cement