নতুন রূপে বাসাবো খেলার মাঠ
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ২৭ নভেম্বর ২০১৯, ০০:২৩
বাসাবো খেলার মাঠ জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। উন্নয়ন কাজের জন্য দীর্ঘ দিন থেকে এ মাঠে জনসাধারণের প্রবেশ বন্ধ রাখা হয়। বর্তমানে মাঠটির নামকরণ করা হয়েছে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আলাউদ্দিন পার্ক। এ ছাড়া বাসাবো কমিউনিটি সেন্টার এবং তরুণ সংঘের ছয় তলাবিশিষ্ট ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। এ কাজে ব্যয় হয়েছে ১৫ কোটি টাকা।
গতকাল এ উপলক্ষে ওই মাঠে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থেকে কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। এ সময় স্থানীয় এমপি সাবের হোসেন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনকালে মেয়র বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি উন্নয়নের স্রোতধারায় বদলে যাচ্ছে। আমি দক্ষিণ ঢাকাকে এমনভাবে গড়ে তুলব যাতে গুলশান-বনানী অভিজাত এলাকার মানুষ এখানে চা-কফি খেতে আসেন। এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে তিনি ঢাকাবাসীর পুনরায় সমর্থন সহযোগিতা ও দোয়া কামনা করেন।
সাঈদ খোকন বলেন, করপোরেশনের এসব পার্ক ও খেলার মাঠ একসময় অবৈধ দখল, অসামাজিক কার্যকলাপ ও মাদকসেবীদের আখড়ায় পরিণত হয়েছিল। সন্ধ্যায় মা-বোনেরা এসবের সামনে দিয়ে চলাফেরার সময় নিরাপত্তাহীনতা বোধ করতেন। আমি দায়িত্ব নিয়ে অবৈধ দখলে থাকা এসব পার্ক ও খেলার মাঠ দখলমুক্ত করে শিশু নারী পুরুষ বৃদ্ধ সবার ব্যবহার উপযোগী করে গড়ে তুলতে সবুজে ঢাকা প্রকল্প গ্রহণ করি। অভিজ্ঞ শতাধিক প্রকৌশলীর মাধ্যমে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করে ১২টি খেলার মাঠ ও ১৯টি পার্ককে বিশ্ব মানের করে বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করি।
তারই ফলে আজকের আধুনিকায়নকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আলাউদ্দিন পার্ক। এটাতে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে। একইভাবে স্বল্প ব্যয়ে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক নানা অনুষ্ঠান সম্পন্নে নগরবাসীদের কল্যাণে বাসাবো কমিউনিটি সেন্টারটির আধুনিকায়ন করে দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি খেলাধুলা ও অন্যান্য সামাজিক সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে যুবসমাজের মানসিক কল্যাণ ও বিকাশে বাসাবো তরুণ সংঘের অত্যাধুনিক ভবন নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর করা হলো।
সরেজমিন দেখা গেছে, বাসাবো খেলার মাঠ অনেকটা বদলে গেছে। নতুন রূপে সাজানো মাঠটিতে শিশু, কিশোর, বৃদ্ধ ও প্রতিবন্ধীদের জন্য খেলাধুলা ও হাঁটার বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে। মাঠজুড়ে রয়েছে সবুজ ঘাস। এ ছাড়া চার দিকে দৃষ্টিনন্দন ওয়াকওয়ে, অতিবৃষ্টিতে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা, বিশ্রামাগার, ফুটবল ও ক্রিকেট অনুশীলনের ব্যবস্থা মাঠকে আকর্ষণীয় করে তুলেছে। মাঠটিতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আনা বারমুডা প্রজাতির ঘাস লাগানো হয়েছে। প্রজাপতি আকৃষ্ট করে এমন ফুলের গাছও আশপাশে রয়েছে। নিজস্ব রিজার্ভার থেকে ৯টি ঝর্ণার মাধ্যমে মাঠের ঘাসে পানি ছিটানো, দর্শক গ্যালারি ও আধুনিক শৌচাগারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা