২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

ডিএনসিসি এলাকায় কিউলেক্স মশার ৬২৬ প্রজননস্থল চিহ্নিত

নিধন অভিযান শুরু
-

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় কিউলেক্স মশার ৬২৬টি প্রজননস্থল বা হটস্পট চিহ্নিত করা হয়েছে। সম্প্রতি কীটতত্ত্ববিদ ড. মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরীর নেতৃত্বে ১২ জন কীটতত্ত্ববিদের সমন্বয়ে পরিচালিত এক সমীক্ষায় এলাকায় কিউলেক্স মশাবাহিত এসব এলাকা চিহ্নিত করা হয়। এজন্য মশা নিধনে পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু করেছে ডিএনসিসি। গতকাল মোহাম্মদপুর ইকবাল রোড মাঠে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মেয়র মো: আতিকুল ইসলাম এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এ অভিযানের আওতায় আগামী ২৪ নভেম্বর রোববার থেকে ডিএনসিসির ৫৪টি ওয়ার্ডে ১০ দিনব্যাপী কিউলেক্স মশার প্রজননস্থলে (হটস্পট) পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম ও মশার লার্ভা ধ্বংস করা হবে। এছাড়া ডিএনসিসির আওতাধীন এলাকাগুলোর সব কচুরিপানা অপসারণ করা হবে।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মেয়র বলেন, এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে যে চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হয় তারই ধারাবাহিকতায় কিউলেক্স মশা নিধনে এ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। কীটতত্ত্ববিদদের পরামর্শে মশক নিধনে ইতোমধ্যে বেশকিছু আধুনিক (চতুর্থ প্রজন্মের) যন্ত্রপাতি ক্রয় করা হয়েছে। আমরা বিশটি মিক্সড ব্লোয়ার যন্ত্র এনেছি, যার সাহায্যে কাভার্ড ড্রেনগুলোর ভেতরে মশার ডিম ও লার্ভা নিধনের কীটনাশক (লার্ভিসাইড) সহজে কার্যকরভাবে স্প্রে করা যাবে। এছাড়া অল্পসময়ে অধিক এলাকায় পূর্ণাঙ্গ মশা মারার কীটনাশক (এডাল্টিসাইড) ছিটানোর জন্য দুটি ভেহিকেল মাউন্টেড ফগার মেশিন আমদানি করা হয়েছে, আরো তিনটি আমদানি করা হবে। এর ফলে মশক নিধন কার্যক্রমে ডিএনসিসির গতি বৃদ্ধি পাবে। যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা না ফেলার জন্য মেয়র নগরবাসীর উদ্দেশে আহবান জানিয়ে বলেন, এডিস মশা বাসা-বাড়ির আশপাশে জমে থাকা পানিতে বংশবিস্তার করে আর কিউলেক্স মশা বাড়ির সামনে ড্রেনে, ডোবা-নালায় ময়লা পানিতে বংশবিস্তার করে। তাই কিউলেক্স মশামুক্ত করতে হলে ডোবা-নালাগুলো পরিষ্কার রাখতে হবে। মেয়র সরকারি-বেসরকারি সব দফতরকে নিজ নিজ এলাকা পরিচ্ছন্ন, কচুরিপানামুক্ত রাখার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে প্যানেল মেয়র আলেয়া সারোয়ার ডেইজী, ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম রতন, ফরিদুর রহমান ইরান, মো: শফিউল্লাহ, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আবদুল হাই, সচিব রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোমিনুর রহমান মামুন, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাঈদ আহমেদ, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এম মঞ্জুর হোসেন উপস্থিত ছিলেন।


আরো সংবাদ



premium cement