২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`

অলি আহমদকে বাদ দিয়ে এলডিপির পাল্টা কমিটি

-

অলি আহমদকে বাদ দিয়ে আবদুল করীম আব্বাসীর নেতৃত্বে সাত সদস্যের ‘সমন্বয় কমিটি’ নামে পাল্টা কমিটি ঘোষণা দিয়েছে এলডিপির একাংশ।
গতকাল সোমবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম এই কমিটি রাজনীতি ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, কর্নেল অলির সাথে রাজনীতি করা যায় না। সে জন্য আমরা আবদুল করীম আব্বাসীকে সভাপতি করে সাত সদস্যের সমন্বয় কমিটি ঘোষণা করছি। এলডিপির সমন্বয় কমিটিতে আবদুল গনি, এম এ বাশার, সৈয়দ ইব্রাহিম রওনক, তৌহিদুল আনোয়ার, কাজী মতিউর রহমান এবং আমি শাহাদাত হোসেন সেলিম সদস্য সচিব হিসেবে এলডিপির একটি কাঠামো ঘোষণা করছি। এই সমন্বয় কমিটি সারা দেশে এলডিপি নেতাকর্মীদের সাথে আলাপ আলোচনা করে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করবে। সেলিম জানান, এই সমন্বয় কমিটি বিএনপির সাথে যুক্ত থাকবে এবং ২০ দলীয় জোটের শরিক দল হিসেবে থাকবে।
সংবাদ সম্মেলনে সাবেক হুইপ আবদুল করীম আব্বাসী বলেন, কর্নেল অলি আহমদ আমার একজন ঘনিষ্ঠ মানুষ, বেশি কিছু বলতে চাই না। অতি দুঃখের সাথে বলতে চাই, উনার সাথে কোনো জ্ঞানী মানুষ, কোনো বুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ রাজনীতি করতে পারবেন না। আমি দীর্ঘ সময় দেখেছিÑ উনি নিজের স্বার্থ ছাড়া আর কোনো কিছু চিন্তা করেন না। উনি একবার ছাতা এ দিকে ধরেন আরেকবার ছাতা ওই দিকে ধরেন।
আপনারা কি এলডিপিতে আছেনÑ প্রশ্ন করা হলে সেলিম বলেন, আমরাই এলডিপি, আমরা এলডিপি নিয়েই আছি। আমাদের এলডিপির সভাপতি পদ রয়েছে। সেই পদে এখন সভাপতি হচ্ছেন আবদুল করীম আব্বাসী।
অলি আহমদ আপনাদের সাথে আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, তার সাথে এখন আমাদের রাজনীতি করা সম্ভব নয়। তাকে বাদ দেয়া হয়েছে। তাকে বহিষ্কার করা হবে কি না তা আমরা বর্ধিত সভা আহ্বান করে পরে আপনাদের জানাবো।
অলি আহমদের সাথে আপনাদের বিভেদ কী নিয়েÑ প্রশ্ন করা হলে সেলিম বলেন, তিনি এলডিপিকে পৈতৃক সম্পত্তি মনে করেছেন। একটা রাজনৈতিক দল চলবে সাংগঠনিক নিয়মে, কারো পৈতৃক সম্পত্তি হতে পারে না। সে জন্য আমরাই এলডিপির বৈধ দাবিদার।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের মওলানা আকরম খাঁ হলে এই সংবাদ সম্মেলনের ব্যানারে লেখা ছিল ‘সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপট’ এলডিপির সংবাদ সম্মেলন।
এতে এলডিপির গত কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুল গনি, সাংগঠনিক সম্পাদক এম এ বাশার, সৈয়দ ইব্রাহিম রওনক, তৌহিদুল আলম আনোয়ার এবং দফতর সম্পাদক কাজী মতিউর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, একজন সিনিয়র রাজনীতিবিদ হিসেবে দেশের ক্রান্তিলগ্নে যেখানে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ রাখার প্রয়াস চালাবেন, সেখানে জোটের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির জন্য জাতীয় মুক্তিমঞ্চ তৈরি করেছেন। শুরুতে এই মঞ্চকে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আলাদা প্লাটফর্ম বলা হলেও ধীরে ধীরে তা জিয়া পরিবার আর বিএনপির বিষোদগার করার প্লাটফর্মে পরিণত হয়। বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বকে বিতর্কিত আর দুর্বল করার ষড়যন্ত্র শুরু করে। এই অবস্থায় কর্নেল অলির সাথে নিজেকে খাপখাওয়ানো আমাদের জন্য দুরূহ হয়ে পড়েছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
গোবিন্দগঞ্জে ট্রাক্টরচাপায় নারী নিহত অভিযোগ করার পর ইনসুলিন ইঞ্জেকশন কেজরিওয়ালকে! হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশনা তালায় আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ১৩টি পরিবারের মাঝে জামায়াতের সহায়তা প্রদান শেরপুরের মহাসড়ক যেন মরণ ফাঁদ বেনজীরের সম্পদ নিয়ে দুদকের অনুসন্ধানের অগ্রগতি প্রতিবেদন চাইলেন হাইকোর্ট আবারো বৃষ্টির শঙ্কা দুবাইয়ে, চিন্তা বাড়াচ্ছে ইউরোপ সিদ্ধিরগঞ্জে চোর আখ্যা দিয়ে যুবককে পিটিয়ে হত্যা মানিকগঞ্জে অটোরিকশা-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে প্রকৌশলী নিহত ডা. জাফরুল্লাহ্ চৌধুরী ছিলেন সমাজ বিপ্লবী পাট পণ্যের উন্নয়ন ও বিপণনে একটি সমন্বিত পথনকশা প্রণয়ন করা হবে : মন্ত্রী

সকল