২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার কারণ জানতে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ

-

চলতি বছর ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা বা গাফিলতি আছে কি না তা শনাক্ত করতে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো: ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন। ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব পদমর্যাদার নিচে নয় এমন একজনকে নিয়ে এ তদন্ত কমিটি গঠিত হবে। ওই কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
গতকাল মঙ্গলবার আদালতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার তৌফিক ইনাম টিপু। অন্য দিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার কাজী মাঈনুল হাসান। এ বিষয়ে ব্যারিস্টার তৌফিক ইনাম টিপু বলেন, গত মে মাসে ডেঙ্গু বিষয়ে হাইকোর্ট স্বপ্রণোদিত হয়ে একটি রুল জারি করেছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার মামলাটি এসেছিল। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে কী কাজ করা হয়েছে সে বিষয়ে ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন থেকে প্রতিবেদন মঙ্গলবার আদালতে দাখিল করেছি। তিনি বলেন, সরকারি হিসাবে ১১২ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এর পেছনে নিশ্চয়ই কোনো অবহেলা ছিল। আদালত ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে কোনো ব্যর্থতা বা গাফিলতি আছে কি না সেটি তদন্ত করতে ঢাকা জেলা ও দায়রা জজের নেতৃত্বে একটা বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছেন। ওই কমিটিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিবের নিচে নয় এমন একজন পদমর্যাদার কাউকে সংযুক্ত করবেন। এই কমিটি আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে একটি প্রতিবেদন দেবে। তদন্ত কমিটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ব বিভাগ, আইসিডিডিআরবি, গণস্বাস্থ্য বিভাগ, প্লান প্রটেকশন উইং-এর সাহায্য-সহযোগিতা নিতে পারবেন। এর বাইরেও আরো যাদের সহযোগিতা দরকার তাদের সহযোগিতাও কমিটি নিতে পারবে।
গত ৬ নভেম্বর এ বছর মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে কতজন মারা গেছে, তার সংখ্যাসহ বিস্তারিত জানতে চেয়েছিলেন হাইকোর্ট। ১১ নভেম্বরের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীকে এ তথ্য আদালতকে জানাতে বলা হয়। এর আগে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে একটি প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হয়। সেখানে সরকারি হিসাবে ১১২ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে বলে জানানো হয়। এর আগে গত ২৮ আগস্ট এক আদেশে আদালত ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সরকারের নেয়া কাজের অগ্রগতি জানাতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। এর আগে গত ৪ জুলাই হাইকোর্ট স্বপ্রণোদিত আদেশে ঢাকা সিটিতে ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়াসহ এডিস মশা নির্মূল ও ধ্বংসে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়ে রুল জারি করেছিলেন। এরপর কয়েক দফায় এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয় এবং বেশ কিছু নির্দেশনা দেন আদালত। আদালতের আদেশে জরুরি ভিত্তিতে বিদেশ থেকে ওষুধ এনে ডেঙ্গু নিধনে কাজ করে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান।

 


আরো সংবাদ



premium cement