স¤্রাট ও আরমানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলা ক্যাসিনো কাণ্ড

ক্যাসিনো কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া আলোচিত যুবলীগ নেতা ইসমাইল চৌধুরী স¤্রাট ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী এনামুল হক আরমানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল মঙ্গলবার কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ দু’টি মামলা করা হয়েছে। দুদক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী স¤্রাটের বিরুদ্ধে দুই কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। এ মামলার বাদি হয়েছেন দুদকের উপ-পরিচালক মো: জাহাঙ্গীর আলম।
অপর দিকে যুবলীগের ঢাকা দক্ষিণের বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি এনামুল হক আরমানের বিরুদ্ধে মামলায় দুই কোটি ৫ লাখ ৪০ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে দুদকের উপ-পরিচালক মো: সালাহউদ্দিন বাদি হয়ে মামলাটি করেছেন।
গত ১৫ অক্টোবর ইসমাইল চৌধুরী স¤্রাটকে অস্ত্র ও মাদক আইনের দুই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিন করে মোট ১০ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন আদালত। একই দিন স¤্রাটের ঘনিষ্ঠ সহযোগী এনামুল হক আরমানকে মাদক আইনের মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ডের আদেশ দিয়েছিলেন আদালত।
১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার মতিঝিলের ক্লাবপাড়ায় র্যাবের অভিযানে অবৈধ ক্যাসিনো চলার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর আত্মগোপনে চলে যান যুবলীগের প্রভাবশালী নেতা স¤্রাট। ৭ আগস্ট কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে স¤্রাট ও তার সহযোগী এনামুল হক আরমানকে গ্রেফতার করে র্যাব। ওই দিন বিকেলে স¤্রাটকে সাথে নিয়ে কাকরাইলের ভূইয়া ট্রেড সেন্টারে তার কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা অভিযান শেষে গুলিসহ একটি বিদেশী পিস্তল, ১১৬০ পিস ইয়াবা, ১৯ বোতল বিদেশী মদ, দু’টি ক্যাঙ্গারুর চামড়া এবং নির্যাতন করার বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম পাওয়ার কথা জানানো হয় র্যাবের পক্ষ থেকে।
ক্যাঙ্গারুর চামড়া পাওয়ার কারণে স¤্রাটকে তাৎক্ষণিকভাবে বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ) আইনে তাৎক্ষণিকভাবে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেদিনই তাকে পাঠিয়ে দেয়া হয় কেরানীগঞ্জের কারাগারে।
আর কুমিল্লায় অভিযানের সময় যুবলীগ নেতা আরমানকে মদ্যপ অবস্থায় পাওয়া যাওয়ায় সেখানেই ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠান। তার কাছে ১৪০টি ইয়াবা পাওয়ায় চৌদ্দগ্রাম থানায় মাদক আইনে তার বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করে র্যাব।
আর ঢাকার রমনা থানায় মাদক নিয়ন্ত্রণ ও অস্ত্র আইনে দু’টি মামলা দায়ের করা হয়। এর মধ্যে মাদক আইনের মামলায় স¤্রাট ও আরমানকে এবং অস্ত্র মামলায় শুধু স¤্রাটকে আসামি করা হয়।