১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মেননের বক্তব্যের পর সংসদ ভেঙে দেয়া উচিত : রিজভী

নয়াপল্টনে বিএনপির ব্রিফিংয়ে বক্তব্য রাখছেন রুহুল কবীর রিজভী হ নয়া দিগন্ত -

একাদশ নির্বাচন নিয়ে রাশেদ খান মেননের দেয়া বক্তব্যকে রাতের ভোটের রাজসাক্ষীর স্বীকারোক্তি হিসেবে উল্লেখ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
গতকাল দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, সত্যের ঢোল বাতাসে বাজে, অপকর্ম করেও কখনো কখনো বিবেকের তাড়নায় সত্য প্রকাশ করতে বাধ্য হয় মানুষ। নিশি রাতের দুর্নীতিবাজ সরকারের বিশ্বস্ত সঙ্গী ছিলেন কমরেড রাশেদ খান মেনন। এখন তার বক্তব্যের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য কী তা আমাদের জানা নেই। তবে জাতির সামনে রাজসাক্ষী হয়ে রাতের ভোটের স্বীকারোক্তি প্রদানের মাধ্যমে নিজের দায় ও অপরাধ তিনি স্বীকার করে নিলেন।
রিজভী বলেন, এই বক্তব্যের পর নৈতিকতা ও বাস্তবতার দিক দিয়ে সরকারের উচিত সংসদ ভেঙে দেয়া। কিন্তু সেই বিবেকটি সরকারের নাই, থাকলে এত বড় অনাচার, এত বড় ডাকাতি করতে পারত না ২৯ ডিসেম্বর রাতে। সংসদে থাকার নৈতিক অধিকার তাদের নেই। যেহেতু তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত নন।
তিনি বলেন, গণভবনের আনুকূল্যে একজন ভিসিকে কতটা রুচিহীন, অমার্জিত করে তুলতে পারে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. মীজানুর রহমান তার উদাহরণ। উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ পদ ভাইস চ্যান্সেলরের মতো মহিমান্বিত পদকে কলুষিত করেছেন মীজানুর রহমান।
দুর্নীতিবাজরা গণভবনের আসতে পারবে নাÑ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ বক্তব্য জনমনে হাসি-তামাশার উদ্রেক করেছে মন্তব্য করে রিজভী বলেন, কে কাকে দুর্নীতিবাজ বলছে? রাতের আঁধারে জনগণের ভোট ডাকাতি করে ভোটাধিকার হরণ কি বড় দুর্নীতি নয়?
রিজভী বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নামে ভুয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে একটি স্বার্থান্বেষী মহল বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য ও বানোয়াট তথ্য পোস্ট করছে। এটা একটা ষড়যন্ত্র। এ ধরনের তথ্য মন্তব্যের সাথে তারেক রহমানের আদৌও কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।
নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন হয়। সংবাদ সম্মেলনে দলের ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিব, এ বি এম মোশাররফ হোসেন, আবদুল আউয়াল খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


আরো সংবাদ



premium cement