২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বাংলাদেশ নৌ চলাচল সংস্থার নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ

প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা নিজাম উদ্দিনের
-

বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ এনে বাংলাদেশ নৌ চলাচল সংস্থার নির্বাচন বর্জন ও প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন নিজাম শিপিং লাইন্সের স্বত্বাধিকারী মো: নিজাম উদ্দিন। গতকাল শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। বাংলাদেশ নৌ চলাচল সংস্থার পল্টন কার্যালয়ে গতকাল এই নির্বাচন হয়। নির্বাচনে মাহবুব-বাদল পরিষদের বিপরীতে গণতান্ত্রিক প্যানেলের নেতৃত্বে ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক এবং নিজাম শিপিং লাইন্সের পরিচালক মো: নিজাম উদ্দিন। নিজাম উদ্দিন সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জানান, ২০১৯-২১ মেয়াদে বাংলাদেশ নৌ চলাচল সংস্থার পরিচালক পদে তিনি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু নানা অনিয়মের কারণে তিনি গত শুক্রবার নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেন, তাদের প্যানেলের অন্যদের ভয়ভীতি দেখিয়ে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে বাধ্য করা হয়েছে। কেবল তিনি অবশিষ্ট ছিলেন। এমনকি তাকেও নানা ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে সংস্থার অনিয়ম তুলে ধরে তিনি জানান, ১২ বছর ধরে বাংলাদেশ নৌ চলাচল সংস্থার নির্বাচন হয় না। দুই বছর পর পকেট কমিটি করে চলছে সংগঠনটি। দীর্ঘ দিন পর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয়েছে, কিন্তু এই তফসিলে অনিয়ম দেখা যায়। সংস্থার বার্ষিক অডিট রিপোর্ট বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, জয়েন্ট স্টক কোম্পানি এবং এফবিসিসিআইতে নথিভুক্ত করা হয়নি। গোপনে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। এমনকি নির্বাচনের কোনো নোটিশ ডাক বা ই-মেইলেও সদস্যদের পাঠানো হয়নি। তিনি বলেন, বর্তমান কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি বাদল খান সঙ্ঘ স্মারক উপেক্ষা করে এবারের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন। নিজাম উদ্দিন বলেন, নির্বাচনে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হয়নি। অনেককে ভোটার করা হয়েছে যাদের ভোটার হওয়ার যোগ্যতা নেই। তিনি বলেন, নির্বাচনী তফসিল ও সঙ্ঘ স্মারকে ভুল রয়েছে। বর্তমান কমিটির নিজস্ব কালো আইন, এজিএম ও ইজিএম না হওয়াসহ নানা অনিয়মের প্রতিকার চেয়ে গত ৯ অক্টোবর তিনি এফবিসিসিআইয়ের আরবিট্রেশন ট্রাইব্যুনালে এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (ডিটিও) বরাবরে আবেদন করেন। সেখানে নির্বাচনের পুনঃতফসিল ঘোষণা এবং কালো আইন বাতিলের দাবি জানান। এর পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয় প্রাথমিকভাবে নির্বাচন বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন এবং ১০ কার্য দিবসের মধ্যে অভিযোগ তদন্তের জন্য একজনকে দায়িত্ব দেন। কিন্তু গত ১৭ অক্টোবর হাইকোর্ট ওই আদেশ স্থগিত করেছেন মর্মে একটি নোটিশ পাওয়া যায়।


আরো সংবাদ



premium cement