মৌলভীবাজারে কুশিয়ারা নদীতে মাছ ধরার উৎসব
- মৌলভীবাজার সংবাদদাতা
- ১৭ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০
মৌলভীবাজারে কুশিয়ারা নদীতে গত কয়েক দিন ধরে উৎসবমুখর পরিবেশে মাছ আহরণ করছেন জেলেরা। প্রতি বছরের আশ্বিন মাসের শেষের ক’দিন ও কার্তিক মাসে শুরুর দিকে মিঠা পানির বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধরা পড়ে এ নদীতে। জেলেসহ নদী পাড়ের নানা পেশার মানুষ মাছ ধরছেন। নদীতে কারেন্ট জাল ও আফা জাল দিয়ে সিরাত পালাক্রমে এ মাছ শিকার করা হচ্ছে। তাদের জালে মিঠা পানির ইলিশ, লাছো, বাছা-কেদার, সরপুঁটি, কালবাউশসহ আরো হরেক রকমের মাছ ধরা পড়ে। এই সময়ে কুশিয়ারা নদী এলাকার মানুষ কম দামে বছরে একবার এসব মাছ কিনে খেতে পারেন। মৎস্যজীবীরা প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকার মাছ বিক্রি করেন। আশ্বিন-কার্তিকে নদীর পানি পরিষ্কার দেখালে ও আকাশের প্রখর রৌদ্র নদীতে পড়লেই নানা জাতের মাছ ঝাকে ঝাকে ভাটি থেকে উজানে যাওয়ার চেষ্টা করে। আর এ সুযোগেই মৎস্যজীবীরা মাছ শিকারে নামেন এমনটাই জানিয়েছেন নদী পাড়ের জেলেরা। তারা জানান, নদীর পানি এখনো ঘোলা (অপরিষ্কার) থাকায় মাছ প্রচুর ধরা পড়ছে না। আরো ক’দিন গেলে পানি পরিচ্ছন্ন দেখালেই মৎস্য শিকার আরো কয়েক গুণ বেড়ে যাবে। সরেজমিনে রাজনগর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের শাহাপুর ও জাহিদপুর গ্রামে গেলে দেখা যায়, অসংখ্য নৌকা নিয়ে দল বেঁধে কারেন্ট জাল পেতে জেলেরা মাছ শিকার করছেন। একটি জাল নদীর এপার থেকে ওপাড়ে ফেলে নৌকাতে বসে থাকেন এক-দুইজন জেলে।
নদীর স্রোতে খানিকটা ভাটিতে গিয়ে প্রায় ১ ঘণ্টা পর জাল তোলেন তারা। জালে ঝাঁকে ঝাঁকে বাছা-কেদার, লাছো ও ইলিশ মাছ ধরা পড়ে। এখানকার স্থানীয় জেলেরা জানান, কুশিয়ারা নদীর রাজনগর উপজেলার মধ্যে শাহাপুর-জাহিদপুর এলাকায় সবচেয়ে বেশি মাছ ধরা পড়ে। মৌলভীবাজার, রাজনগর উপজেলা সদর ও সিলেটের বালাগঞ্জ থেকে সাধারণ মানুষ এসে সস্তায় দেশীয় মাছ ক্রয় করে নিয়ে যান।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা