২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

ক্ষমতার দাপটে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হচ্ছে : সুলতানা কামাল

-

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল বলেছেন, যদিও দেশে ক্যাসিনোর শুদ্ধি অভিযান চলছে। তবে অন্য দিকে ক্ষমতার দাপটে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হচ্ছে। মানুষকে হয়রানি করছি। শেয়ারবাজার লুট করছি। এগুলো নিয়ে আমরা কিন্তু কোনো কথা বলছি না। সেই জায়গায় আমরা বিরাট উন্নয়ন করেছি।
গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে প্রতিবন্ধী নারীদের জাতীয় পরিষদ আয়োজিত ‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন ২০১৩ বাস্তবায়ন, বিদ্যমান পরিস্থিতি ও করণীয়’ বিষয়ক এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আয়োজক সংগঠনের সভাপতি নাসিমা আক্তার।
সুলতানা কামাল বলেন, দেশ দুর্নীতিতে প্রচণ্ড উন্নয়ন হয়েছে। পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, যেখানে বালিশ কিনতে লাগে ১৪ হাজার টাকা, আর বালিশের কভার কিনতে লাগে সাত হাজার টাকা। তার মানে আমরা উন্নয়ন করেছি দুর্নীতিতে।
তিনি বলেন, আমরা প্রত্যেকেই প্রতিবন্ধীদের নিয়ে কতটা ভাবি, চিন্তা করি? আমরা তো বলে থাকি দেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে এগোচ্ছে। বাংলাদেশ সারাবিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হয়ে গেছে। আমরা কি এই উন্নয়নের সাথে মানবিকতাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পেরেছি? উন্নয়নের সাথে সভ্যতাকে তাল মিলিয়ে চালাতে পারছি? তাহলে আমরা উন্নয়ন বলতে কী বুঝাতে চাচ্ছি? শুধু কি রাস্তাঘাট, ইমারত, ব্রিজ তৈরিকে উন্নয়ন বলি?
এই মানবাধিকার কর্মী বলেন, ২০১৩ সালে প্রতিবন্ধীদের নিয়ে যে আইনটি পাস করা হয়েছে, সে আইনটি বাস্তবায়ন হচ্ছে না। এর কারণ হলো প্রতিবন্ধীদের আমরা আন্তরিকতা সহকারে দেখি না। প্রতিবন্ধীদের নিয়ে যে আইনটি প্রধানমন্ত্রী পাস করেছেন; কিন্তু যারা তা বাস্তবায়ন করবেন তারা সে আইনটি বাস্তবায়ন করছে না। যদিও প্রধানমন্ত্রী একটি ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বলেছিলেন কোনো কোটা থাকবে না। সেটার কি কোনো দলিল লিখিত প্রমাণ আছে? তবে প্রতিবন্ধী আইন বাস্তবায়ন হচ্ছে না কেন? প্রধানমন্ত্রী যখন আইনটি পাস করেছিলেন তার কোনো বাস্তবায়ন কিন্তু আমরা দেখিনি। তবে যখন কোটা বাতিলের কথা বললেন, তখন কিন্তু আস্তে আস্তে কোটা বাতিল হয়ে যাচ্ছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement