২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`
রোহিঙ্গাদের ভুয়া এনআইডি প্রদান

ইসির কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত থাকার বিষয় অনুসন্ধান করবে দুদক

-

কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম অঞ্চলে রোহিঙ্গাদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তি ও তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) দেয়ার ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জড়িত থাকার বিষয়টি অনুসন্ধান করবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল এ বিষয়ে কমিশনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়।
দুদকের জনসংযোগ বিভাগ জানায়, জালিয়াতি, প্রতারণা ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে মিয়ানমার থেকে বিতারিত রোহিঙ্গাদের এআইডি দিয়ে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছে ইসির কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী। তারা ঢাকা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার ও পাবনায় কর্মরত আছেন। তাদের মধ্যে আছেনÑ চট্টগ্রাম জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মো: মুনীর হোসাইন খান ও চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানার সাবেক নির্বাচন কর্মকর্তা আবদুল লতিফ শেখ। লতিফ শেখ বর্তমানে পাবনার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা। অন্যদের মধ্যে আছেনÑ ঢাকা এনআইডি প্রজেক্টের টেকনিক্যাল এক্সপার্ট সাগর, একই শাখার সাবেক টেকনিক্যাল এক্সপার্ট সত্য সুন্দর দে, চট্টগ্রামের পটিয়ার বড় উঠান ইউনিয়নের শাহানুর মিয়া, সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাচন অফিসের অস্থায়ী অপারেটর জনপ্রিয় বড়–য়া ও চট্টগ্রাম ডবলমুরিং থানা নির্বাচন অফিসের অফিস সহায়ক জয়নাল আবেদীন, শাহিন, ফাহমিদা আকতার, পাভেল বড়–য়া ও জাহিদ।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর রোহিঙ্গাদের ভুয়া পরিচয়পত্রের বিষয়ে তদন্তের জন্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক ও জেলা ইসি কার্যালয়ে অভিযান চালায় দুদক টিম। ইসির সার্ভারে রোহিঙ্গাদের এনআইডি সংরক্ষিত থাকার প্রমাণ এবং এ ঘটনায় জনপ্রতিনিধিসহ ইসির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জড়িত থাকার তথ্য-প্রমাণ পাওয়ার পর এ অভিযান হয়।
দুদক জানায়, সম্প্রতি লাকী ওরফে বিবি নামে এক রোহিঙ্গা নারী জাতীয় পরিচয়পত্র নিতে এসে পুলিশের হাতে আটক হন। পরে তার স্মাটকার্ড পরীক্ষা করে ইসির সার্ভারে থাকা কোড নম্বরের সাথে মিল পাওয়া যায়।
দুদক জানায়, ইসির দেয়া তথ্যানুযায়ী বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গাকে শণাক্ত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন রোহিঙ্গা ডাকাতও আছে। যে কয়েকদিন আগে বন্দুকযুদ্ধে মারা যায়। এনআইডি পাওয়া রোহিঙ্গাদের তথ্য ঢাকা থেকে সার্ভারে সংযুক্ত করা হয়েছে।
দুদকের অভিযানের পর গত ১৭ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিস কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করেন। এর আগে ১৩ সেপ্টেম্বর কক্সবাজার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শিমুল শর্মা বাদী হয়ে জেলা সদর থানায় ভোটার তালিকায় ৬০০ রোহিঙ্গার নাম উঠানোর অভিযোগে মামলা করেন।
উল্লেখ্য, এ ঘটনায় গত ১৬ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম ইসির আঞ্চলিক কার্যালয় তাদের অফিস সহায়ক জয়নাল আবেদীন ও তার দুই সহযোগীকে আটক করে পুলিশে হস্তান্তর করে। গত ২২ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম নগরীর লাভ লেনে অবস্থিত আঞ্চলিক সার্ভার স্টেশন থেকে গ্রেফতার হয় ইসির চার কর্মী। তারা হলেনÑ অস্থায়ী কর্মী শাহিন, ফাহমিদা আকতার, পাভেল বড়–য়া ও জাহিদ।


আরো সংবাদ



premium cement