২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

সরকারের প্রশ্রয়ে ক্যাসিনো চলেছে ড. মোশাররফ

-

ক্ষমতাসীন সরকার নিজেদের দোষকে অন্যের ঘাড়ে চাপানোর জন্য মিথ্যাচারের আশ্র্রয় নিচ্ছে মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, এই সব ক্যাসিনো, অনৈতিক কর্মকাণ্ড আওয়ামী সরকারের প্ররোচনায়, তাদের প্রশ্রয়ে চলেছে, প্রশাসনের সহযোগিতায় চলেছে। তা না হলে থানা (মতিঝিল) থেকে কয়েক গজ দূরে এই ধরনের ক্যাসিনো এতদিন চলতে পারে না। গতকাল শনিবার দুপুরে এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. মোশাররফ হোসেন বলেন, সরকারের বড় নেতাদের বাসা তল্লাশি করলে বড় বড় দুর্নীতির থলের কালো বিড়াল বেরিয়ে আসবে। সম্প্রতি আপনারা দেখছেন, আওয়ামী লীগ, যুবলীগের নেতারা কিভাবে ঢাকা শহরে অবৈধ ক্যাসিনো চালাচ্ছে, কিভাবে লুট করেছে, চাঁদাবাজি করেছে। একজন যুবলীগের সামান্য নেতার বাড়িতে আজকে ১৭৫ কোটি টাকার এফডিআর পাওয়া যায়, বৈদেশিক মুদ্রা ডলারের বস্তা পাওয়া যায়, নগদ টাকা পাওয়া যায়। তাহলে বুঝতে পারেন, তাদের চেয়ে একটু বড় নেতারা কত কামাই করছেন, তারা কী পরিমাণ চাঁদাবাজি করছেন। ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ৮৬ কোটি টাকা চাঁদাবাজির দায়ে বহিষ্কার হয়েছে। আমরা ধারণা করতে পারি, তাদের ওপর দিকের সরকারি নেতাদের এর থেকে বড় বড় দুর্নীতি আছে। তাদের বাড়িতে তল্লাশি করা হলে এদের থেকেও বেশি সম্পদ ধরা পড়বে। আমরা বলতে চাই, এই অনৈতিক ও অস্বাভাবিক সরকারের থলের ভেতর থেকে কালো বিড়াল আস্তে আস্তে বের হওয়া শুরু হয়েছে, আরো বের হবে।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এই মানববন্ধন হয়। ওলামা দলের আহ্বায়ক শাহ নেছারুল হকের সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব নজরুল ইসলাম তালুকদারের পরিচালনায় মানববন্ধনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ, আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, রফিক সিকদার, ওলামা দলের আবুল হোসেন, মাহমুদুল হাসান শামীম, হাবিবুল্লাহ নোমানী, মশিউর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। ‘ক্যাসিনো ব্যবসা বিএনপি আমলে শুরু হয়েছে’ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় খন্দকার মোশাররফ বলেন, যদি ক্যাসিনো জুয়া বিএনপির সময়ে শুরু হয়ে থাকে এই সরকার তো ক্ষমতায় ১২ বছর, তারা কেন এই অবৈধ ক্যাসিনো ব্যবসাকে এত দিন ধরলেন না? বিএনপি ক্ষমতা ছাড়ার পর ১/১১-এর সরকার ক্ষমতায় এসেছিল। তারা সমাজ থেকে অপকর্ম-অন্যায় দূরীভূত করার শপথ নিয়েছিল। যদি বিএনপির সময় এই ধরনের ক্যাসিনো ব্যবসা থাকত তাহলে তাদের সময় ধরা পড়ত, তারা ব্যবসা করতে পারত না।
আর্থিক খাতে দুর্নীতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই ধরনের অন্যায়, চাঁদাবাজি, লাগামহীন লুটপাট তা কখনোই চলতে পারে না যদি সরকারের সেখানে পৃষ্ঠপোষকতা না থাকে। সরকার সেখানে পৃষ্ঠপোষকতা করছে এবং প্রশাসন সহযোগিতা করছে। আমাদের দায়িত্ব হচ্ছেÑ এই অন্যায়, এই অত্যাচার এবং অস্বাভাবিক অনৈতিক সরকারের হাত থেকে জনগণ, দেশ ও দেশের অর্থনীতিকে রক্ষা করা। এটা করতে হলে দেশে একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরিয়ে এনে গণতান্ত্রিকভাবে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশের সব অন্যায়-অবিচার থেকে জনগণকে মুক্ত করতে হবে। আমি সব দেশপ্রেমিক ও গণতান্ত্রিক শক্তিসহ পেশাজীবীকে আহ্বান জানাবÑ আপনারা আসুন এই ভয়াবহ অবস্থা থেকে আমরা দেশকে রক্ষা করি এবং দেশের জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করি। গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে আগে কারাবন্দী নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বানও জানান ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।


আরো সংবাদ



premium cement
এবারের আইপিএলে কমলা ও বেগুনি টুপির লড়াইয়ে কারা সরকার জনবিচ্ছিন্ন হয়ে সন্ত্রাসনির্ভর হয়ে গেছে : রিজভী রাশিয়ার ৯৯টি ক্ষেপণাস্ত্রের ৮৪টি ভূপাতিত করেছে ইউক্রেন আওয়ামী লীগকে ‘ভারতীয় পণ্য’ বললেন গয়েশ্বর দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে দাগনভুঞার যুবক নিহত কাশ্মিরে ট্যাক্সি খাদে পড়ে নিহত ১০ অবশেষে অধিনায়কের ব্যাপারে সিদ্ধান্তে পৌঁছল পাকিস্তান জাতিসঙ্ঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থাকে আবার অর্থায়ন শুরু করবে জাপান শেখ হাসিনার অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনীতি বিএনপিকে অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে : ওবায়দুল কাদের রাশিয়া সমুদ্র তীরবর্তী রিসোর্টে ১৬.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে সিরিয়ায় ইসরাইলি হামলায় নিহত ৩৬ সেনা সদস্য

সকল