১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

কাশ্মিরের মুক্তিকামী জনগণের আকাক্সক্ষা নস্যাৎ করা যাবে না সাইফুল হক

-

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, কাশ্মির ও কাশ্মিরের জনগণের বিশেষ অধিকার ও আত্মনিয়ন্ত্রণের মৌলিক প্রশ্নকে এড়িয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীর কর্তৃত্ব ও দখলদারিত্বে কাশ্মির সঙ্কটের সমাধান হবে না। তিনি বলেন, নির্যাতন, নিপীড়ন, হত্যা, সন্ত্রাসের পথে কাশ্মিরের মুক্তিকামী জনগণের ন্যায্য, গণতান্ত্রিক ও মানবিক আকাক্সক্ষাকে নস্যাৎ করা যাবে না। তিনি কাশ্মিরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর দখলদারিত্বের অবসান ঘটিয়ে কাশ্মিরি জনগণের মতামতের ভিত্তিতে তাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের আহ্বান জানান।
দলের রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালীর সভাপতিত্বে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গতকাল শুক্রবার অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, আসামসহ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) নিয়ে ভারতীয় জনতা পার্টি- বিজেপির বিভিন্ন স্তরের নেতাদের বিরোধী বক্তব্য চরম ঔদ্ধত্যপূর্ণ, উসকানিমূলক, সাম্প্রদায়িক এবং বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তাবিরোধী। আসামসহ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে নাগরিকপঞ্জির বাইরে থাকা ভারতীয়দের যেভাবে বাংলাদেশে ঠেলে দেয়ার কথা বলা হচ্ছে এবং তাদের বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী হিসেবে আখ্যা দিয়ে তাদের জন্য যেভাবে বাংলাদেশের ভূখণ্ড দাবি করা হচ্ছে তা বিজেপি নেতাদের বাংলাদেশ বিরোধী আগ্রাসী মনোভাবেরই বহিঃপ্রকাশ। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এসব সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক তৎপরতার প্রতিবাদ না করার চরম হিন্দুত্ববাদী বিজেপি নেতাদের লাগামহীন বেসামাল ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তৃতা-বিবৃতি অব্যাহত রয়েছে। তিনি বলেন, ভারতের নাগরিকপঞ্জি বা এনআরসি থেকে বাদ পড়া ভারতীয়রা কিভাবে ভারতের নাগরিক হিসেবে নথিভুক্ত হবেন তা একান্তই ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। ভারতীয় নাগরিকদের অনুপ্রবেশকারী হিসেবে চিহ্নিত করে বাংলাদেশকে অনুগত ও বশংবদ রাষ্ট্র হিসেবে গণ্য করার কোনো অবকাশ নেই।
বাম জোটের সমন্বয়ক মোশাররফ হোসেন নান্নু বলেন, ভারতের প্রতি অনুগত ও নতজানু নীতি পরিহার করে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ও বিজেপির বৈরী ও আধিপত্যবাদী তৎপরতা ও পদক্ষেপের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
বহ্নিশিখা জামালী বলেন, বিএসএফ-বিজিবির মধ্যে সুস্পষ্ট চুক্তি থাকার পরও বিএসএফ সীমান্তে বাংলাদেশীদের বর্বর হত্যাকাণ্ড অব্যাহত রেখেছে। সীমান্ত হত্যা শূন্যতে নামিয়ে আনার কথা বলে বিএসএফ ধারাবাহিকভাবে তা লঙ্ঘন করে চলেছে। এর ফলে সীমান্ত অঞ্চলে মানুষের জানমালের গুরুতর নিরাপত্তাহীনতা দেখা দিয়েছে। এটা কোনো সৎ প্রতিবেশীর পরিচয় বহন করে না।
দলের রাজনৈতিক পরিষদের নেতা আকবর খান বলেন, তিস্তা চুক্তি এখন নিছক মরুভূমির মরীচিকায় পরিণত হয়েছে। তিনি বলেন, জামদানি শাড়ি আর ইলিশ মাছের কূটনীতি দিয়ে তিস্তার পানি আদায় করা যাবে না। অভিন্ন নদীর পানিতে বাংলাদেশের ন্যায্য হিস্যা ভারতের দয়ার ব্যাপার নয়।
মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষক এম. আকতারুজ্জামান, রাশিদা বেগম, মাহমুদ হোসেন, সজীব সরকার রতন, অ্যাপোলো জামালী, মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক, অরবিন্দু বেপারী বিন্দু, রফিকুল ইসলাম অভি প্রমুখ। মানববন্ধন শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল তোপখানা রোড, বিজয়নগর প্রদক্ষিণ করে সেগুনবাগিচায় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এসে শেষ হয়।


আরো সংবাদ



premium cement