রূপগঞ্জে শীতলক্ষ্যার তীরে উচ্ছেদ অভিযান বিআইডব্লিউটিএর
- রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) সংবাদদাতা
- ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের পূর্ব গ্রাম এলাকার শীতলক্ষ্যা নদীর তীর দখল করে গড়ে ওঠা ডকইয়ার্ডসহ প্রস্তাবিত স্টেডিয়ামে অভিযান পরিচালনা করেছে বিআইডব্লিউটিএ। অভিযোগ রয়েছে, আলম ডকইয়ার্ড, তুহিন ডকইয়ার্ড, মালেক ডকইয়ার্ডসহ ১০টি জাহাজ নির্মাণ শিল্প কারখানা (ডকইয়ার্ড) ও একটি শিল্প প্রতিষ্ঠানের দেয়াল নির্মাণ করে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা দখলে রাখেন। শুধু তাই নয়, প্রস্তাবিত স্টেডিয়ামের অংশবিশেষ উচ্ছেদ করেছে বিআইডব্লিউটিএ। এ সময় প্রস্তাবিত স্টেডিয়ামে রাখা বিপুল পরিমাণ সিমেন্টের স্লাব ২ লাখ টাকায় নিলামে বিক্রি করা হয়। এ ছাড়া ভরাটকৃৃৃত অংশের আংশিক ভেকু দিয়ে কেটে দেয়া হয়।
গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে বিআইডব্লিউটিএ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়। নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের যুগ্ম পরিচালক শেখ মাসুদ কামালের সার্বিক তত্ত্বাবধানে অভিযানে আরো উপস্থিত ছিলেন পরিচালক (বন্দর ও পরিবহন) শফিকুল হক, উপ-পরিচালক মো: শহিদুল্লাহ, সহকারী পরিচালক এহতেশামুল পারভেজ প্রমুখ।
অভিযানে বিআইডব্লিউটিএর দু’টি এস্কাভেটর (ভেকু), একটি উচ্ছেদকারী জাহাজসহ বিপুলসংখ্যক পুলিশ ও আনসার সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দরের যুগ্ম পরিচালক শেখ মাসুদ কামাল জানান, বেশ কিছুদিন আগে শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে প্রায় এক একর জমি দখল করে বালু ফেলে ভরাট করা হয়। সেখানে স্টেডিয়াম নির্মাণের প্রস্তাব দেয়া হয়। কিন্তু সেখানে খেলার উপযোগী ব্যবস্থা না করে পাথরের ব্যবসা চালিয়ে আসছিলেন কিছু রাজনৈতিক নেতাকর্মী।
গাঁজাসহ ১৭ মাদককারবারি গ্রেফতার
এ দিকে নারায়ণগঞ্জরে রূপগঞ্জে গাঁজাসহ ১৭ মাদককারবারিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব ৩ (সিপিসি-৩) এর সদস্যরা। সোমবার মধ্যরাতে উপজেলার চনপাড়া এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ৫০০ গ্রাম গাঁজাসহ ১৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব-৩ (সিপিসি-৩) এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান জানান, চনপাড়া এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে মাদককারবারিরা গাঁজাসহ বিভিন্ন মাদক বিক্রি করে আসছিল বলে র্যাবের কাছে সংবাদ ছিল। এরই প্রেক্ষিতে সোমবার গভীর রাতে গোপন সংবাদরে ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ৫০০ গ্রাম গাঁজাসহ ১৭ মাদককারবারিকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় গ্রেফতারকৃত রিপন ও জিয়াকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
অপর দিকে সজীব, ফারুক, সাহেব আলী, মেহেদেী, রমজান, মোহাম্মদ আলীসহ ১৫ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করা হয়।
এ সময় আরো উপস্থতি ছিলেন, র্যাব-৩ (সিপিসি-৩) এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বীনা রানী দাস, সিনিয়র অতিরিক্ত পুলশি সুপার কফিল উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বশির আহম্মেদসহ আরো অনেকে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা