২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`
দ্বিতীয় পর্যায়ের ‘চিরুনি অভিযান’ শুরু

বাড়িতে এডিসের লার্ভা পেলে আইনগত ব্যবস্থা : মেয়র আতিকুল

-

এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংসের লক্ষ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৩৬টি ওয়ার্ডে দ্বিতীয় পর্যায়ের ‘বিশেষ পরিচ্ছন্নতা ও চিরুনি অভিযান’ শুরু হয়েছে। গতকাল ডিএনসিসি মেয়র মো: আতিকুল ইসলাম মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ২ নম্বর গেটের সামনে এ অভিযানের উদ্বোধন করেন।
এ সময় মেয়র বলেন, প্রথম চিরুনি অভিযান থেকে আমাদের অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে। আমরা জানি কোথায় কোথায় এডিস মশার বংশবিস্তার হতে পারে। প্রথম পর্যায়ের অভিযানে কোনো বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলেও তাদের জরিমানা করা হয়নি, সতর্ক করা হয়েছিল। তবে এবার কারো বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এমনকি কোনো ‘সার্ভিস প্যাসেজে’ ময়লা-আবর্জনা পাওয়া গেলে সেই ‘সার্ভিস প্যাসেজের’ পাশের ভবনের সব ফ্ল্যাট মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ডিএনসিসির কর্মকর্তারা জানান, প্রথম পর্যায়ের অভিযানের মতো এ অভিযানেও প্রতিটি ওয়ার্ডকে ১০টি ব্লকে এবং প্রতিটি ব্লককে ১০টি সাব-ব্লকে ভাগ করা হয়েছে। প্রতিটি সাব-ব্লকে ৮ থেকে ১০ জন পরিচ্ছন্নতা ও মশককর্মীদের একটি দল চিরুনি অভিযান পরিচালনা করবে। প্রতিদিন প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি ব্লকের ১০টি সাব-ব্লকে ১০টি দল চিরুনি অভিযান পরিচালনা করবে। এভাবে ১০ দিনে ৩৬টি ওয়ার্ডে এ অভিযান সম্পন্ন হবে। সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলরেরা চিরুনি অভিযানের সার্বিক তত্ত্বাবধান করছেন।
কর্মকর্তারা আরো জানান, গত ২৫ আগস্ট থেকে ১০ দিনব্যাপী প্রথম দফা চিরুনি অভিযান অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম দফা চিরুনি অভিযানে ৩৬টি ওয়ার্ডে সর্বমোট এক লাখ ২২ হাজার ২১৯টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে মোট ২ হাজার ১৩টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা খুঁজে পাওয়া যায়। এ ছাড়া ৬৭ হাজার ৭৫৮টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার বংশবিস্তার উপযোগী স্থান/জমে থাকা পানি পাওয়া যায়। সেসব স্থান ধ্বংস করে লার্ভিসাইড প্রয়োগ করা হয়। এডিস মশা নির্মূলে বছরব্যাপী ডিএনসিসির কর্মসূচি ও ভ্রাম্যমাণ আদালত অব্যাহত থাকবে বলেও কর্মকর্তারা জানান।


আরো সংবাদ



premium cement