২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয় প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল

-

অভ্যন্তরীণ খাদ্যশস্য সংগ্রহ নীতিমালা, ২০১৭ অনুযায়ী সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে কেন ধান ক্রয় করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে কৃষি সচিব, খাদ্য সচিব ও খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালককে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। গতকাল বুধবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত অবকাশকালীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেন।
অভ্যন্তরীণ খাদ্যশস্য সংগ্রহ নীতিমালায় বলা হয়েছে, কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি সংগ্রহ মওসুমে উৎপাদিত ধান ও গম এবং বৈধ ও সচল চালকল মালিকদের কাছ থেকে চুক্তির বিপরীতে সংশ্লিষ্ট মওসুমের ধান থেকে ছাঁটাই করা চাল সংগ্রহ করা হবে। উপজেলা কমিটি প্রত্যেকের প্রদেয় খাদ্যশস্যের পরিমাণসহ নির্বাচিত কৃষকদের তালিকা সংশ্লিষ্ট সংগ্রহ কেন্দ্রে প্রেরণ করবে। এ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত কৃষকদের কাছ থেকে ধান ও গম ক্রয় করা হবে। সংগ্রহ কেন্দ্রের কর্মকর্তা কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ড বা জাতীয় পরিচয়পত্রের ভিত্তিতে তালিকাভুক্ত কৃষকদের শনাক্ত করবেন। তালিকাবহির্ভূত কারো কাছ হতে ধান ও গম ক্রয় করা যাবে না।
কিন্তু এই নীতিমালা অমান্য করে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয় না করে মধ্যস্বত্বভোগীদের কাছ থেকে তা কেনা হচ্ছে। এতে কৃষকরা ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না। এ বিষয়গুলো উল্লেখ করে হাইকোর্টে রিট করেন জাতীয় কৃষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম গোলাপ।
রিটে বলা হয়, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের পছন্দের লোক বা স্থানীয় সরকারি দলের লোকজনই আসলে সরকারি গুদামে ধান সরবরাহের সুযোগ পায়। আর তারা কেউই প্রান্তিক কৃষক নন। ক্ষেত্র বিশেষে তারা গরিব কৃষকের ধান কম দামে কিনে বেশি দামে সরকারি গুদামে সরবরাহ করে থাকেন। ফলে ঋণ করে ধান উৎপাদন করে এখন কৃষকেরা তাদের উৎপাদন খরচও তুলতে পারছেন না। রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো: ফিরোজ আলম। শুনানি শেষে হাইকোর্ট রুল জারি করেন।


আরো সংবাদ



premium cement