২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

রাজশাহীতে বিপ্লব হত্যা মামলায় স্ত্রীর ভাইয়ের মৃত্যুদণ্ড

-

রাজশাহীর জাহিদুল হাসান বিপ্লব হত্যা মামলার পলাতক আসামি ফয়সাল কবীর রনিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসাথে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। গতকাল রোববার দুপুরে জেলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক অনুপ কুমার সরকার এ রায় ঘোষণা করেন। রনি রাজশাহী নগরীর কাজলা কেডি কাব পশ্চিমপাড়া এলাকার এস এম হাবিবুর রহমানের ছেলে। রনির ছোটবোনের স্বামী বিপ্লব। এ মামলায় রনির বাবাও আসামি ছিলেন। তবে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তাকে খালাস দিয়েছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৭ সালের ৩ মার্চ রাজশাহী নগরীর কাজলা কেডি কাবের সামনে হাবিবুরের জামাতা বিপ্লবকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়। বিপ্লব ওই এলাকার এরশাদ আলীর ছেলে। বিপ্লব ভালোবেসে রনির ছোট বোন লিজা খাতুনকে বিয়ে করেন। কিন্তু সেই বিয়ে পারিবারিকভাবে মেনে নিতে পারেননি রনি। এ বিষয় নিয়ে রনি ও বিপ্লবের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। ঘটনার দিন বাড়ির সামনে ইট রাখা নিয়ে বিপ্লব ও রনির মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বিপ্লবের বুকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান রনি। এতে ঘটনাস্থলেই বিপ্লবের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহত বিপ্লবের বড় ভাই আসাদ জামান ওরফে বুলবুল ওই দিনই বাদি হয়ে রনিসহ তিনজনকে আসামি করে নগরীর মতিহার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে ২০১৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর মতিহার থানা পুলিশ আদালতে বিপ্লব হত্যা মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করে। অভিযোগপত্রে এক আসামিকে অব্যাহতি দিয়ে রনি ও তার বাবা হাবিবুরকে অভিযুক্ত করা হয়। পরে রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মোট ২৭জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে রনিকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেয়া হলো।
রায় ঘোষণার পর রাজশাহী দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট এন্তাজুল হক বাবু সাংবাদিকদের জানান, রনি গ্রেফতার হওয়ার পর উচ্চ আদালত থেকে জামিন পান। তবে মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের দিন থেকে রনি পলাতক রয়েছেন। পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরও রনি আদালতে হাজির হননি। তাই তার অনুপস্থিতেই দুপুরে আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।


আরো সংবাদ



premium cement