২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`
চট্টগ্রামে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা

খসরুসহ বিএনপি-জামায়াতের ৪৫৩ নেতাকর্মীর বিচার শুরু

-

সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় চট্টগ্রামে বিএনপি-জামায়াতের ৪৫৩ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু হয়েছে। ২০১৫ সালে ২০ দলীয় ঐক্যজোটের সমাবেশ চলাকালে পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল।
গতকাল রোববার সন্ত্রাস দমন ট্রাইব্যুনাল চট্টগ্রামের বিচারক মোহাম্মদ আবদুল হালিমের আদালতে এই অভিযোগ গঠন করা হয়। তবে আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন। আসামিদের মধ্যে রয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম নগর বিএনপির সভাপতি ডা: শাহাদাত হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, দলের যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সহসভাপতি মো: এনামুল হক, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শামসুল আলম এবং জামায়াতের সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরী। বাকিরা সবাই বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মী।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচনের বর্ষপূর্তিতে ২০১৫ সালে নগরীর কাজীর দেউড়ির নাসিমন ভবনের সামনে সমাবেশ ডেকেছিল ২০-দলীয় জোট। ওই দিন সভা চলাকালে পুলিশের সাথে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দলের যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীসহ ৩০২জনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। এই ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে পুলিশের ওপর হামলা, বিস্ফোরক আইন ও সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ধারায় একটি মামলা করে নগরের কোতোয়ালি থানায়। পরে তদন্ত শেষে ২০১৮ সালের ৪ জুলাই চট্টগ্রাম আদালতে পুলিশের ওপর হামলা, বিস্ফোরক আইন ও সন্ত্রাসবিরোধী আইনের তিনটি ধারায় পৃথক তিনটি অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। ৯ সেপ্টেম্বর আদালত অভিযোগপত্রগুলো গ্রহণ করেন। কয়েক দফা শুনানি পেছানোর পর আদালত রোববার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় অভিযোগ গঠন করেন।
শুনানিকালে আসামি পক্ষের আইনজীবী কামরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীদের হয়রানি, আন্দোলন ও নির্বাচন থেকে দূরে রাখার জন্য ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এই মামলা হয়েছিল। ঘটনার দিন পুলিশ ৬০০টি গুলি করেছিল। আসামিরা কেউ গুলি চালায়নি। তাই এটি সন্ত্রাসবিরোধী আইনে পড়ে না। আসামিরা সম্পূর্ণ নির্দোষ। হয়রানির জন্য এই মামলা। আসামিদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হোক।
ট্্রাইব্যুনালের পিপি মনোরঞ্জন দাশ বলেন, আসামিরা পুলিশের উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেছেন। দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য তারা পুলিশের উপর পরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালিয়েছেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামিদের অভিযোগ পড়ে শোনান। পরে ৪৫৩ আসামির বিরুদ্ধে এই মামলায় অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন।


আরো সংবাদ



premium cement