পরিবেশ দূষণের অভিযোগে এশিয়ান পেপার মিল বন্ধের নির্দেশ
- চট্টগ্রাম ব্যুরো
- ১৯ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০
বর্জ্য ফেলে হালদা নদী ও আশপাশের পরিবেশ দূষণের দায়ে চট্টগ্রামের নন্দীরহাটস্থ এশিয়ান পেপার মিল বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে পরিবেশ অধিদফতর। গতকাল রোববার পরিবেশ অধিদফতর চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ে শুনানি শেষে এ আদেশ দেন পরিবেশ অধিদফতর চট্টগ্রাম মহানগরের পরিচালক আজাদুর রহমান মল্লিক।
পরিবেশ অধিদফতর চট্টগ্রাম মহানগরের সহকারী পরিচালক সংযুক্তা দাশ গুপ্তা জানিয়েছেন, গতকালের শুনানি শেষে জরুরি ভিত্তিতে সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, ত্র“টি সংশোধন করে ইটিপি সার্বক্ষণিক চালু রাখার পদক্ষেপ গ্রহণ ও পরিবেশসম্মতভাবে স্লাজ অপসারণের যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে এশিয়ান পেপার মিল কর্তৃপক্ষকে। এসব ব্যবস্থা গ্রহণ না করা পর্যন্ত কারখানার উৎপাদন বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
তিনি জানান, এশিয়ান পেপার মিলের তরল বর্জ্য বাইপাসের মাধ্যমে অপসারণ করে পরিবেশ দূষণের অভিযোগ পেয়ে গত ১৪ আগস্ট পরিবেশ অধিদফতরের চট্টগ্রাম গবেষণাগার পরিচালক নূরুল্লাহ নূরী, অধিদফতরের সহকারী পরিচালক সংযুক্তা দাশ গুপ্তা ও সহকারী পরিচালক মুক্তাদির হাসান কারাখানা ও আশপাশের এলাকা সরেজমিন পরিদর্শন করেন। পরে ১৮ আগস্ট শুনানিতে হাজির হওয়ার জন্য এশিয়ান পেপার মিল কর্তৃপক্ষকে নোটিশ দেয়া হয়।
আজাদুর রহমান মল্লিক জানান, গত ১৪ আগস্ট কারখানাটির বিরুদ্ধে পরিবেশ দূষণের অভিযোগ আনেন হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুহুল আমীন। এর পর কারখানা এলাকা অধিদফতরের একটি দল পরিদর্শন করে। পরিদর্শন শেষে বিভিন্ন নমুনা পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়। পরিদর্শনে প্রতিষ্ঠানটির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা খুবই নাজুক পরিলক্ষিত হয়। ইতঃপূর্বে বহুবার প্রতিষ্ঠানটির কর্তৃপক্ষকে ক্ষতিপূরন আরোপ এবং সতর্ক করা হলেও তারা কোনো প্রকার কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। প্রতিষ্ঠানটির স্লাজ খোলা স্থানে রাখা হয়েছে, যা বৃষ্টির পানিতে ধুয়ে সহজে পাশের খালে অপসারিত হয় এবং এই পানি মরাছড়া খাল হয়ে হালদা নদীতে পতিত হয়। তিনি জানান, পরিদর্শনে প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন পয়েন্টের পানির নমুনা সংগ্রহ এবং বিশ্লেষণ করা, যা পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা, ১৯৯৭-এর মানমাত্রা বহির্ভূত পাওয়া যায়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা