মাদারীপুরের দিপ্তীকে ইজিবাইক থেকে নামিয়ে ধর্ষণ ও হত্যা জেলখাটা চালক গ্রেফতার
- মাদারীপুর সংবাদদাতা
- ২১ জুলাই ২০১৯, ০০:০০
মাদারীপুরের আলোচিত দশম শ্রেণীর মাদরাসাছাত্রী দিপ্তী আক্তারকে ধর্ষণ শেষে হত্যা করে লাশে ইট বেঁধে পুকুরে ফেলার ঘটনায় ইজিবাইক চালক সাজ্জাদ হোসেন খানকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। গতকাল শনিবার ভোরে নিজবাড়ি খাগদী থেকে আটকের পর বেলা ১১টায় র্যাব-৮ এর অতিরিক্ত ডিআইজি (সিও) আতিকা ইসলাম মাদারীপুর ক্যাম্পে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। এর আগে ১৯৯২ সালে ৭ বছরের শিশুকে গলাকেটে হত্যার মামলায় যাবজ্জীবন কারাভোগ করে ১৮ বছর পর ২০১১ সালে কারগার থেকে মুক্তি পায় সাজ্জাদ। সে মাদারীপুর পৌরসভার পূর্ব খাগদী এলাকার মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে।
র্যাব-৮ এর সিও আতিকা ইসলাম বলেন, গত ১১ জুলাই মাদারীপুর শহরের বোনের বাসা থেকে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয় দিপ্তী। শহরের ইটেরপুল থেকে ইজিবাইকে চরমুগরিয়ার দিকে যাচ্ছিল সে। ইজিবাইকে আর কোনো যাত্রী না থাকায় এবং প্রচুর বৃষ্টি হওয়ায় চালক সাজ্জাদ তাকে জোর করে নিজের বাসায় নিয়ে যায়। পরে চেতনানাশক দিয়ে দিপ্তীকে অচেতন করে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে দিপ্তী অসুস্থ হয়ে পড়লে গলাটিপে তাকে হত্যা করা হয়। পরে গলায় ইট বেঁধে লাশ বস্তায় ভরে সাজ্জাদের বাড়ির কাছের একটি পুকুরে ফেলে রাখে। ১৩ জুলাই নিহতের লাশ পুকুরে ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। পরে লাশের পরনের পোশাক দেখে দিপ্তীর লাশ শনাক্ত করে তার পরিবার।
১৪ জুলাই দিপ্তীর পরিবার সদর থানায় একটি মামলা করেন। লাশ উদ্ধারের সূত্র ধরে তদন্তে নামে র্যাব। পরে ধর্ষণ ও হত্যার কাজে ব্যবহৃত আলামত উদ্ধার ও সাজ্জাদকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় সে তার দোষ স্বীকার করেছে বলেও জানিয়েছে র্যাব। শনিবার দুপুরে সাজ্জাদকে সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়। দিপ্তী সদর উপজেলার চরনাছনা মহিলা মাদরাসার দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিলেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা