জবি ছাত্রলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রলীগের দ্বিতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেলা ৩টায় বিজ্ঞান চত্বরের সামনে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এ দিকে সম্মেলনে তীব্র গরমে স্ট্রোক করে বিশ^বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিার্থী সুলতান মো: ওয়াসি নামের এক ছাত্র মারা গেছেন।
জানা যায়, সুলতান মো: ওয়াসি সম্মেলনে যোগ দিতে এসে তীব্র গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে বিশ^বিদ্যালয়ের নিকটস্থ ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। এ সময় হাসপাতালের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে নেয়া হয় এবং ইসিজি করানোর পর চূড়ান্তভাবে তাকে মৃত ঘোষণা করেন ঢামেকের চিকিৎসক।
এ ছাড়া সম্মেলনকে কেন্দ্র করে পদপ্রত্যাশী নেতারা নিজেদের জনশক্তি দিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের শক্ত অবস্থান দেখানোর জন্য রাজধানীর বিভিন্ন স্কুল, কলেজের ছাত্র, অছাত্র ও শ্রমিক ভাড়া করে নিয়ে এসে শোডাউন দিতে দেখা গেছে। সম্মেলনের আগের রাতে বিভিন্ন নেতাদের কর্মীরা সামনের জায়গা দখল করে সারারাত অবস্থান করেন, যাতে সেখানে প্রতিপক্ষ নেতার কর্মীরা এসে বসতে না পারেন। সারারাত জেগে থেকে সকালে সবাই ক্লান্ত হয়ে পড়েন। এ দিকে বেলা ১১টায় বার্ষিক সম্মেলন শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দুপুর পেরিয়ে বেলা ৩টায় মূল প্রোগ্রাম শুরু হয়। পদপ্রত্যাশী নেতাদের আগত কর্মীরা পাল্লা দিয়ে সেøাগান দিতে থাকেন। এর একপর্যায়ে এস এম ওয়াসি অসুস্থ হয়ে পড়েন।
সম্মেলনের প্রধান অতিথি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, বাংলাদেশ যা কিছু অর্জন করেছে তার সবটুকু ছাত্রলীগেই অবদান। তৎকালীন জগন্নাথ কলেজের (বর্তমানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়) কোনো মিছিল না গেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো আন্দোলন হতো না। এ সময় সম্মেলনে কেন্দ্রীয় নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, যাদের ছাত্রত্ব আছে, যেসব পদপ্রত্যাশীদের বিরুদ্ধে কোনো কলঙ্ক নেই, তাদের ছাত্রনেতা বানানো হবে।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি মো: রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন বলেন, শুধু নেতা নয়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কর্মী হওয়াটাই গর্বের বিষয়। এ সময় ছাত্রলীগের কর্মীদের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে ধারণা করে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
প্রধান বক্তা হিসেবে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী বলেন, বিতর্কিত, অযোগ্য ও তদবিরে কোনো নেতা হবে না। যারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইতিবাচক আদর্শ ধারণ করবেন, তারাই নেতা হবেন। যাদের মধ্যে শৃঙ্খলা নেই তারা ছাত্রলীগের কর্মী হতে পারে না।
সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক আশরাফুল ইসলাম টিটনের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক জামাল উদ্দিন সঞ্চালনায় আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য অ্যাডভোকেট কাজী নজীবুল্লাহ হীরু, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ জগন্নাথ বিশ^বিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সাবেক শীর্ষ নেতা বক্তব্য রাখেন।