আবারো মঞ্চে প্রশংসিত ‘হাঁড়ি ফাটিবে’
- সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক
- ১৬ জুলাই ২০১৯, ০০:০০
তরণ প্রজন্মের অন্যতম নাট্যদল এথিক আবারো মঞ্চে প্রশংসিত হয়েছে। তাদের নন্দিত প্রযোজনা ‘হাঁড়ি ফাটিবে’ গতকাল সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে মঞ্চস্থ হয়। উপমহাদেশের প্রখ্যাত নাট্যকার উৎপল দত্ত রচিত নাটকটি নির্দেশনা দিয়েছেন তরুণ নাট্য নির্দেশক অপু শহীদ, সহকারী নির্দেশক মিন্টু সরদার। এর আগে নাটকটি কলকাতায় মঞ্চস্থ হয়ে ব্যাপক প্রশংসিত হয়।
নাটকটি সমাজের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের অপ্রকাশিত অপরাধ উন্মোচন করার এক অভিনব অভিযান। চিরকালই সমাজপতিরা নানান ধরনের জঘন্য অপরাধ করে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার কাজ করে চলেছে। সেসব মুখোশধারী সমাজপতির হাঁড়ির গোপন তথ্য ফাঁস করে দেয়ার গল্পই হলো এই নাটক।
নাটকের গল্পে আবির্ভূত হয় এক আদর্শবাদী প্রতিভাবান লেখক। ভাষা ও সাহিত্যসেবার আদর্শে উজ্জীবিত এই যুবক। জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে নিষ্পেষিত। সে সমাজের নানা ক্ষেত্রে ক্ষেত্রপতিদের অনেক অন্যায় ও অবৈধ কর্মকাণ্ডের প্রত্যক্ষ সক্ষী। সে দেখেছে বিখ্যাত এক সাহিত্যিক কিভাবে তার লেখা উপন্যাসগুলো নিজের নামে চালিয়ে জনপ্রিয় হয়েছে এবং জনপ্রিয়তার সুযোগে অনেক নারীর সাথে গড়েছে অবৈধ সম্পর্ক। আরো দেখেছে কিভাবে এক পত্রিকার মালিক নেতাজী ফান্ডের নাম করে টাকা লোপাট করেছে এবং নিজের প্রয়োজনে স্ত্রীকে পর্যন্ত ব্যবহার করেছে। দেশবরেণ্য মন্ত্রী কর্তৃক দেশের প্রতিরক্ষার গোপন তথ্য মার্কিন দূতাবাসের হাতে তুলে দেয়ার তথ্যটিও তার জানা।
শিশুদের জন্য আনা অনুদানের টাকা মেরে দেয়া এক সমাজসেবিকার জালিয়াতির ঘটনারও সাক্ষী সে। তার জানা আছে, কেমন করে মিল মালিক ক্ষুদ্র স্বার্থে নিষ্ঠুরভাবে মানুষ খুন করেছে। প্রতারণার মাধ্যমে সমাজে প্রতিষ্ঠিত এই সমাজপতিদের নগ্ন চরিত্র খুলে দেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় প্রমাণ সংগ্রহ করে সেগুলো নিয়ে ব্যবচ্ছেদ নামের বই লেখে কিংকর। বইটি প্রকাশ হওয়ার আগে সেসব সমাজপতিদের আমন্ত্রণ জানায় তার পোড়ো বাড়িতে। দাওয়াতপত্রটি এমনভাবে ছাপায় যাতে কৌতূহলী ও ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে সবাই আসতে বাধ্য হয়। এবার চলতে থাকে ইঁদুর-বিড়াল খেলা।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা