২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

অর্ধবার্ষিকীতে গ্রামীণফোনের রাজস্ব আয় ৭০৯০ কোটি টাকা

-

২০১৯ সালের প্রথম ছয় মাসে (জানুয়ারি-জুন) গ্রামীণফোনের রাজস্ব আয় দাঁড়িয়েছে সাত হাজার ৯০ কোটি টাকা, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১০.৬ শতাংশ বেশি। এ সময়ে শেয়ারপ্রতি মুনাফা দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ৩৭ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১২ টাকা ১০ পয়সা। একই সময়ে ৮.৯ শতাংশ বেড়ে মোট গ্রাহকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে সাত কোটি ৫৩ লাখ। এ সময় প্রতিষ্ঠানটি ভ্যাট, ট্যাক্স, ডিউটি, ফি, ফোরজি লাইসেন্স এবং স্পেকট্রাম বাবদ ৪০৯০ কোটি টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিয়েছে, যা মোট রাজস্বের ৫৮ শতাংশ।
সোমবার প্রকাশিত প্রতিষ্ঠানটির আর্থিক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে আসে। তবে অর্ধবার্ষিকীতে মুনাফা বাড়লেও গত বছরের তুলনায় সর্বশেষ (এপ্রিল-জুন) প্রান্তিকে কমেছে। দ্বিতীয় প্রান্তিকে কর-পরবর্তী মুনাফার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯৬০ কোটি টাকা। শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ৭ টাকা ৭ পয়সা, যা আগের বছর ছিল ৭ টাকা ৭০ পয়সা। সে হিসাবে আগের বছরের তুলনায় ইপিএস কমেছে ৮ দশমিক ১৮ শতাংশ।
প্রথম ছয় মাসে প্রতিষ্ঠানটির নেটওয়ার্কে ১৩ লাখ নতুন গ্রাহক যোগ দিয়েছে, যা ২০১৮ সালের শেষ প্রান্তিকের তুলনায় ৩.১ শতাংশ বেশি। একই সময়ে ১৬ লাখ নতুন ইন্টারনেট গ্রাহক যোগ হয়। বর্তমানে মোট গ্রাহকসংখ্যার মোট ৫২.৮ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহার করছে।
গ্রামীণফোনের সিইও মাইকেল ফোলি বলেন, ‘চ্যালেঞ্জিং ব্যবসায়িক পরিবেশ থাকা সত্ত্বেও ২০১৯ সালের প্রথম ছয় মাসে শক্তিশালী ফল অর্জন করেছি। এ সময়ে আমরা ফোরজি নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়নে গুরুত্ব দিয়েছি। জুন মাসের শেষ নাগাদ বাংলাদেশের ৬২ শতাংশ জনসংখ্যা গ্রামীণফোনের ফোরজি নেটওয়ার্কের আওতায় এসেছে। নতুনভাবে সম্পূরক শুল্ক আরোপ করায় গ্রাহকদের সুবিধার্থে আমরা আমাদের সেবাগুলোর পুনর্বিন্যাস করেছি। ভয়েস ও ইন্টারনেট ব্যবহারে আমরা ভালো প্রবৃদ্ধি দেখেছি। এই সময়ে প্রতি গ্রাহকের মোবাইল সেবা ব্যবহারও বৃদ্ধি পেয়েছে।’
গ্রামীণফোনের ডেপুটি সিএফও মোস্তফা আলিম আওলাদ বলেন, ‘গ্রামীণফোন প্রথম ছয় মাসে শক্ত মার্জিন নিয়ে উল্লেখযোগ্য ব্যবসায়িক ফলাফল অর্জন করেছে।’
গ্রামীণফোনের পরিচালনা পর্ষদ পরিশোধিত মূলধনের ৯০ শতাংশ অন্তর্বর্তী লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।


আরো সংবাদ



premium cement