২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

নির্বাচন অনুষ্ঠানের যোগ্যতা হারিয়েছে ইসি : বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি

-

বিদ্যমান নির্বাচন কমিশন (ইসি) দেশে অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের সব যোগ্যতা হারিয়েছে। নির্বাচনী ব্যবস্থার ন্যূনতম বিশ্বাসযোগ্যতাও তারা নষ্ট করে দিয়েছে। প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনী ব্যবস্থাকে কার্যত তারা বিদায় করে দিয়েছে। তাদের অধীনে দেশে আর কোনো নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের অবকাশ নেই।
গতকাল বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক কমিটির প্রস্তাবে এসব কথা বলা হয়। সভার প্রস্তাবে গোটা নির্বাচনী ব্যবস্থার খোল-নলচে পাল্টাতে আমূল সংস্কারের দাবি করা হয়। সেগুনবাগিচায় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান, আবু হাসান টিপু ও আনছার আলী দুলাল উপস্থিত ছিলেন।
এতে আরো বলা হয়, গত ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচনে নজিরবিহীন ভোট ডাকাতি ও জালিয়াতি এবং সদ্যসমাপ্ত পাঁচ পর্বের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মহাতামাশার পর বর্তমান নির্বাচন কমিশনের প্রতি জনআস্থা এখন শূন্যের কোঠায়। একাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচনের ছয় মাস পর নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে তারা যে অবিশ্বাস্য অভূতপূর্ব সঙ্গতিহীন নির্বাচনী ফলাফল প্রকাশ করেছে তাতেই ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের নজিরবিহীন জালিয়াতির চিত্র ধরা পড়েছে। ২৪ হাজার কেন্দ্রে ৮০ শতাংশের ওপর ভোট পড়া, ১২৮৫টি কেন্দ্রে প্রধান বিরোধী দলের শূন্যভোট দেখানো, ৫৮৭টি কেন্দ্রে সরকারি দলের প্রতীকে ১০০ শতাংশ ভোট, ইভিএম এ ৫১.৪২ শতাংশ ভোটের বিপরীতে ব্যালটে ৮০.৮০ শতাংশ ভোট দেখানোসহ অভূতপূর্ব অসঙ্গতি ও অনিয়মের চিত্র ধরা পড়েছে। বিস্ময়কর হচ্ছে নির্বাচন কমিশন এসব ব্যাপারে আইন অনুযায়ী কোনো পদক্ষেপ বা ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। বিভিন্ন সময় নির্বাচন কমিশন সদস্যদের বক্তব্য ও বিবৃতির মধ্য দিয়ে এসব নির্বাচনী জালিয়াতির স্বীকৃতিও পাওয়া গেছে।
সভার প্রস্তাবে ৩০ ডিসেম্বরের ব্যর্থ ও অকার্যকরী নির্বাচনের দায়দায়িত্ব গ্রহণ করে অবিলম্বে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ নির্বাচন কমিশনারদের পদত্যাগ দাবি করা হয়। সভার প্রস্তাবে বলা হয় সরকার ও নির্বাচন কমিশন মিলে নির্বাচনী ব্যবস্থাকে যেভাবে ধ্বংস করা হয়েছে এবং গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব ও মর্যাদাকে যেভাবে ভূলুণ্ঠিত করা হয়েছে তা দেশের নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতিতে এক গুরুতর সঙ্কট তৈরি করেছে, যা দেশের গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক ভবিষ্যৎকে গভীর খাদে নিপতিত করেছে। সভায় গৃহীত অপর এক প্রস্তাবে কোনো অজুহাত না দেখিয়ে অবিলম্বে গ্যাসের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়। একই সাথে গ্যাসের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহারের দাবিতে আগামীকাল ১৪ জুলাই জ্বালানি মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচি সফল করারও আহ্বান জানানো হয়।


আরো সংবাদ



premium cement