২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`
জন্মবার্ষিকীর আলোচনা

আল মাহমুদ বাংলা সাহিত্যে চিরদিন বেঁচে থাকবেন

রাজধানীর একটি হোটেলে কবি আল মাহমুদের ৮৪তম জন্মবার্ষিকী উৎসব : নয়া দিগন্ত -

বক্তব্য, স্মৃতিচারণ, কবিতা আবৃত্তি ও আলোচনার মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে আধুনিক বাংলা ভাষার কিংবদন্তি কবি আল মাহমুদের ৮৪তম জন্মবার্ষিকী। অনুষ্ঠানে আলোচনায় কবি আল মাহমুদের বহুমাত্রিকতার বিষয়টি তুলে ধরে বক্তারা বলেন, আল মাহমুদ বেঁচে আছেন এবং বেঁচে থাকবেন। কারণ তিনি ছিলেন অসাধারণ এক কবি। তার গদ্য-কবিতায় ছিল দেশপ্রেম। তারা বলেন, আল মাহমুদ দেশপ্রেমিক ছিলেন বলেই তার লেখনীতে তিনি জাতির ধর্ম, বিজয় ও সংস্কৃতিকে নিপুণ সাজে তুলে ধরেছেন। এসবের কারণে কবি আল মাহমুদকে রাষ্ট্রীয়ভাবে মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদানের দাবি জানানো তারা।
এ উপলক্ষে গতকাল বিকেলে রাজধানীর কাটাবনের কবিতা ক্যাফেতে আয়োজন করা হয় ‘আল মাহমুদ উৎসব’। সাহিত্য সংগঠন ‘কবি এবং কবিতা’র আয়োজনে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কবি মুহম্মদ নুরুল হুদা। মুখ্য আলোচক ছিলেন কবি জাহিদুল হক। কবি শহীন রেজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সঞ্চালক ছিলেন দৈনিক নয়া দিগন্তের সাহিত্য সম্পাদক কবি জাকির আবু জাফর। উৎসবে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে কেউ বক্তব্য রাখেন কেউ কেউ আল মাহমুদকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন, আবার কেউবা বক্তব্য শেষে কবিতা আবৃত্তি করেন। এদের মধ্যে ছিলেন কবি ও সাংবাদিক মুজতাহিদ ফারুকী, আল মাহমুদ ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক কবি আবিদ আজম, ছড়াকার জগলুল হায়দার, জান্নাতুন নিসা, বাদল চৌধুরী, কামারুজ্জামান, তাহমিনা বেগম, সিফাত শাহরিয়ার, তারেক মাহমুদ, রফিক হাসান, সোমা খান ও হাসান মাহমুদ।
অন্য দিকে কবির জন্মভিটা ব্রাহ্মণবাড়িয়া মৌড়াইলে গতকাল সকালে স্মরণ অনুষ্ঠান ছাড়াও কবির কবরে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন ও ফাতেহা পাঠ করা হয়। সেখানে সভাপতিত্ব করবেন অধ্যাপক কবি মহিবুর রহিম। এ ছাড়া আল মাহমুদ স্মারকগ্রন্থ প্রকাশনা ছাড়াও কবির জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বৃহৎ পরিসরে একটি অনুষ্ঠান আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে।
১৯৩৬ সালের এই দিনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মৌড়াইল গ্রামের মোল্লাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন কবি আল মাহমুদ। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে এ কীর্তিমান নিজের অমরত নিশ্চিত করে লোক থেকে লোকান্তরিত হন চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি।
পঞ্চাশের দশকে আবির্ভূত সাহিত্যের সব্যসাচী লেখক আল মাহমুদ কবিতা ছাড়াও লিখেছেন উপন্যাস, গল্প, প্রবন্ধ, ছড়া, আত্মজীবনী প্রভৃতি। এ যাবৎ তার প্রকাশিত শতাধিক গ্রন্থ নিয়ে প্রকাশনা সংস্থা ঐতিহ্য মোট ১৩ খণ্ডে প্রকাশ করেছে ‘আল মাহমুদ রচনাবলি’। সৃজনশীল সাহিত্য রচনার জন্য বহু জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন আল মাহমুদ। বাংলা একাডেমি পুরস্কার, জয়বাংলা পুরস্কার, হুমায়ুুন কবির স্মৃতি পুরস্কার, ফিলিপস সাহিত্য পুরস্কার, একুশে পদক, নাসিরউদ্দীন স্বর্ণপদক, সমান্তরাল (ভারত) কর্তৃক ভানুসিংহ সম্মাননা পদক-২০০৪ সম্মাননা উল্লেখযোগ্য।

 


আরো সংবাদ



premium cement