১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বিশিষ্টজনদের আশঙ্কা সুন্দরবন বিপদাপন্ন ঐতিহ্য তালিকায় চলে যেতে পারে

-

বাংলাদেশ সরকারের কাজে সন্তষ্ট না হলে এ বছরের পরই আবারো ‘সুন্দরবন বিপদাপন্ন ঐতিহ্য’ তালিকায় চলে যেতে পারে বলে বিশিষ্টজনরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। ‘সদ্য সমাপ্ত ইউনেস্কো বিশ^ ঐতিহ্য কমিটির সভা, উপকূল ও সুন্দরবনের ভবিষ্যৎ এবং আমাদের করণীয়’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, এ ধরনের কিছু ঘটলে তা হবে আমাদের দেশের জন্য চরম ব্যর্থতা ও অপমানজনক।
সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির উদ্যোগে গতকাল বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি সাগর-রুনি মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য পাঠ করেন সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্যসচিব ও বাপার সাধারণ সম্পাদক ডা: মো: আব্দুল মতিন। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বক্তব্য দেন, সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য রুহীন হোসেন প্রিন্স, শরীফ জামিল এবং বাপার সাবেক সাধারণ সম্পাদক মহিদুল হক খান।
বক্তারা বলেন, গত ৩০ জুন আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে ইউনেস্কো বিশ^ ঐতিহ্য কমিটির ৪৩ম সভার গতকাল ছিল নবম দিন। এতে অন্যতম বিশ^ ঐতিহ্য সুন্দরবনের দুরাবস্থা নিয়ে আলোচনা শেষ হয়েছে এবং কমিটি একটি সিদ্ধান্তও দিয়েছে। সুন্দরবন নিরাপদ ও ভালো রাখার ব্যাপারে আমাদের দেশের সফলতা নিয়ে ইউনেস্কোর ৪১তম সভায় (২০১৭) কিছু নেতিবাচক পর্যবেক্ষণ ছিল। আমরা তাদের সে সব পর্যবেক্ষণকে সঠিক মনে করি। বাংলাদেশের দায়িত্ব ছিল সেসব বিষয়ে করণীয় সব কাজ সম্পন্ন করে এবারের সভাকে তা অবহিত করা। বাংলাদেশ সরকার কি করেছে তা প্রকাশ করা হয়নি, কিন্তু সরকারের কাজের একটি প্রতিবেদন ইউনেস্কোর কাছে জমা দেয়া হয়েছে।
তারা বলেন, বাকুর সভায় বাংলাদেশের প্রতিবেদনে ইউনেস্কো বিশ^ ঐতিহ্য কমিটি সন্তষ্ট হয়েছে বলে মনে হয়নি। কারণ ২০১৭ সালের কাজগুলো সম্পন্ন করার জন্য আবারো তাগাদা দেয়া হয়েছে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে তাদের পর্যবেক্ষণ দল সরেজমিন সুন্দরবন দেখতে আসার কথা। বাংলাদেশকে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে আবার কৃত কাজের প্রতিবেদন জমা দিতে হবে ও আগামী বছর এমন সময়েই বিশ^ ঐতিহ্য কমিটির ৪৪তম সভায় তা আবার মূল্যায়ন করা হবে। সে সভায় বাংলাদেশ সরকারের কাজে তারা সন্তষ্ট না হলে সুন্দরবন আবার বিপদাপন্ন ঐতিহ্য তালিকায় চলে যেতে পারে।


আরো সংবাদ



premium cement