২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

রণদা প্রসাদ হত্যা মামলার রায় আজ

-

মুক্তিযুদ্ধের সময় দানবীর রণদা প্রসাদ সাহা (আর পি সাহা) ও তার ছেলে হত্যাকাণ্ডসহ তিনটি গণহত্যার অভিযোগে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার রায় আজ বৃহস্পতিবার ঘোষণা করা হবে। গতকাল চেয়ারম্যান বিচারপতি মো: শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল রায়ের এ দিন ধার্য করেন।
গত ২৪ এপ্রিল এ মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন ট্রাইব্যুনাল।
রাষ্ট্রপক্ষে এ মামলার শুনানিতে ছিলেন প্রসিকিউটর রানা দাশগুপ্ত। আসামি মাহবুবুর রহমানের পক্ষে ছিলেন, আইনজীবী গাজী এম এইচ তামিম।
গত বছরের ২৮ মার্চ মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করেন ট্রাইব্যুনাল। গত বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি এই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল। রণদা প্রসাদ সাহা হত্যায় অভিযুক্ত মো: মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে হত্যা, অপহরণ ও গণহত্যার তিনটি অভিযোগ আনা হয়।
২০১৭ সালের ২ নভেম্বর তদন্ত সংস্থা এ মামলার প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, আসামি মাহবুবুর রহমান ১৯৭১ সালের ৭ মে মধ্যরাতে নারায়ণগঞ্জের স্থানীয় রাজাকারদের সহায়তায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ২০-২৫ জন সদস্যকে নিয়ে রণদা প্রসাদ সাহার বাসায় অভিযান চালান। মুক্তিযুদ্ধের সময় আসামি টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের ভারতেশ্বরী হোমসের আশপাশের এলাকা, নারায়ণগঞ্জের খানপুরের কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট ও তার আশপাশের এবং টাঙ্গাইল সার্কিট হাউজ এলাকায় অপরাধ সংঘটিত করেন।
একটি ফৌজদারি মামলায় মাহবুবুর রহমানকে (৬৯) গত বছর গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই বছরের ৯ জুন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। আসামি মাহবুবের বাড়ি টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার বইরাতিয়া পাড়ায়।
উল্লেখ্য, মানবসেবায় অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ স্বাধীনতার পর ১৯৭১ সালে সরকার আর পি সাহাকে মরণোত্তর স্বাধীনতা পদক দেয়। মানবহিতৈষী কাজের জন্য ব্রিটিশ সরকার রায় বাহাদুর খেতাব দিয়েছিল রণদা প্রসাদ সাহাকে। তার বাবার বাড়ি ছিল টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে। সেখানে তিনি একাধিক শিক্ষা ও দাতব্য প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন।
এক সময় নারায়ণগঞ্জে পাটের ব্যবসায় নামেন রণদা প্রসাদ সাহা। থাকতেন নারায়ণগঞ্জের খানপুরের সিরাজদিখানে। সে বাড়ি থেকেই তাকে, তার ছেলে ও অন্যদের ধরে নিয়ে যায় আসামি মাহবুবুর রহমান ও তার সহযোগীরা।


আরো সংবাদ



premium cement