২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`
মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে লিভার ট্রান্সপ্লান্ট

আমাদের এ প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

-

সফল লিভার প্রতিস্থাপনের পর আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, আমাদের এ মহতী প্রচেষ্টা সামনের দিনগুলোতেও অব্যাহত থাকবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে লিভার প্রতিস্থাপনের পর গতকাল আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর ৫০০ জন লিভার প্রতিস্থাপনের রোগী বিদেশ চলে যায়। এসব রোগী এখন বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়েই স্বল্প খরচে লিভার প্রতিস্থাপন করতে পারবেন। তিনি বলেন, এই লিভার প্রতিস্থাপন সম্বন্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানতেন এবং তিনি ওই প্রতিস্থাপন প্রক্রিয়া চলাকালে খোঁজ নিয়েছেন। জাহিদ মালেক জানান, আমি নিজে লিভার দাতা ও গ্রহীতাকে দেখে এসেছি। তারা ভালো আছেন। গত সোমবার প্রতিস্থাপন প্রক্রিয়ার সময় সারাক্ষণই আমি খোঁজখবর নিয়েছি।
সংবাদ সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো: আসাদুল ইসলাম। বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ডা: কনক কান্তি বড়–য়া। উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা: মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন। অস্ত্রোপচারটির নেতৃত্ব দেন হেপাটোবিলিয়ারি, প্যানক্রিয়েটিক ও লিভার ট্রান্সপ্লান্ট বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক জুলফিকার রহমান খান।
উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে লিভার প্রতিস্থাপন এটাই প্রথম হলেও রাজধানীতে আরো দুইটি হাসপাতালে লিভার প্রতিস্থাপন করা হয়। ল্যাব এইড হাসপাতালে দুইটি এবং বারডেমে দুইটি লিভার প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। কিন্তু ওই দুই হাসপাতালে লিভার প্রতিস্থাপন সফল হয়নি।
বঙ্গবন্ধু হাসপাতালে কিশোরগঞ্জের ভৈরবের ২০ বছরের এক যুবকের লিভার প্রতিস্থাপন করা হয় তার মা থেকে। এ প্রতিস্থাপনটি করা হয় সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। প্রতিস্থাপনে কত টাকা খরচ হয়েছে এ সম্বন্ধে কোনো তথ্য দিতে পারেননি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
স্বাস্থ্য সচিব মো: আসাদুল ইসলাম বলেন, এর মাধ্যমে ইতিহাস সৃষ্টি হলো। আশা করছি এ বিশ্ববিদ্যালয়ে এ প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে এবং লিভার দাতা ও গ্রহীতা দু’জনই সুস্থ হয়ে বাড়ি যাবেন।
ভিসি অধ্যাপক কনক কান্তি বড়–য়া বলেন, আমরা একটি সিস্টেমের মাধ্যমে বঙ্গন্ধুতে ভবিষ্যতে লিভার প্রতিস্থাপন করতে চাই। লিভার প্রতিস্থাপনের সাথে জড়িত চিকিৎসকদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান তিনি।
অধ্যাপক জুলফিকার রহমান বলেন, রোগীর মায়ের কাছ থেকে আংশিক লিভার নিয়ে গত সোমবার ভোর ৬টা থেকে অস্ত্রোপচারের কার্যক্রম শুরু করেন সার্জনেরা। এটা শেষ করতে ১৬ ঘণ্টা লেগেছে। সার্জন ও সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকেরা বিরতিহীন কাজ করেছেন। তারা গতকাল পর্যন্ত সুস্থ আছেন। রোগীকে নিবিড় পরিচর্যায় রাখা হবে সাত দিন। তিনি আশা করেন রোগী ও রোগীর মা সুস্থ হয়ে বাড়ি যাবেন। 


আরো সংবাদ



premium cement