বিদেশী বিনিয়োগ সম্প্রসারণে বাংলাদেশ সঠিক পথে আছে গত বছর এফডিআই এসেছে ৩৬১ কোটি ৩৩ লাখ ডলার
- বাসস
- ২৫ জুন ২০১৯, ০০:০০
বৈশ্বিক পর্যায়ে বিদেশী বিনিয়োগপ্রবাহ (এফডিআই) নেতিবাচক হলেও সরকারের ব্যবসাবান্ধব নীতি-সহায়তার কারণে বাংলাদেশ ২০১৮ সালে বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে।
সোমবার রাজধানীর একটি পাঁচতারা হোটেলে জাতিসঙ্ঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন সংস্থার (আঙ্কটাড) বিশ্ব বিনিয়োগ রিপোর্ট-২০১৯ প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী, বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম বক্তব্য রাখেন।
আঙ্কটাড গত ১২ জুন প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে। বাংলাদেশ গতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে এটি প্রকাশ করল। প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০১৭ সালে বাংলাদেশে বিদেশী বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ২১৫ কোটি ১৬ লাখ মার্কিন ডলার। অথচ ২০১৮ সালে বাংলাদেশে এফডিআই এসেছে রেকর্ড পরিমাণ ৩৬১ কোটি ৩৩ লাখ ডলার। ফলে এক বছরের ব্যবধানে দেশে বিনিয়োগ বেড়েছে প্রায় ৬৮ শতাংশ।
দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের মধ্যে ভারতে ২০১৮ সালে বিদেশী বিনিয়োগ এসেছে চার হাজার ২২৮ কোটি ৫৭ লাখ ডলার, এর আগের বছর সেখানে এফডিআইয়ের পরিমাণ ছিল তিন হাজার ৯৯০ কোটি ৩৮ লাখ ডলার, ফলে এক বছরে সেখানে বিদেশী বিনিয়োগ বেড়েছে ৬ শতাংশ। মালদ্বীপে গত বছর এফডিআই ছিল ৫৫ কোটি ১৮ লাখ ডলার, নেপালে ১৬ কোটি আট লাখ ডলার এবং শ্রীলঙ্কায় ১৬১ কোটি পাঁচ লাখ ডলার।
অন্য দিকে দক্ষিণ এশিয়ার দু’টি দেশে গত বছর এর আগের বছরের তুলনায় এফডিআই হ্রাস পেয়েছে। পাকিস্তানে ২০১৭ সালে বিদেশী বিনিয়োগ ছিল ৩২৩ কোটি ২০ লাখ ডলার, যেটা গত বছর কমে দাঁড়িয়েছে ২৩৫ কোটি ২০ লাখ ডলার। আর ভুটানে ২০১৭ সালের ৯৯ লাখ ডলারের এফডিআই গত বছর কমে হয়েছে ৫৯ লাখ ডলার। ফলে সেখানে এফডিআই কমেছে ১৬০ শতাংশ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা