২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

তরল দুধের সব কোম্পানির তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট

বিএসটিআইকে নির্দেশ
-

বিএসটিআইয়ের নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত কতগুলো কোম্পানির তরল দুধ রাজধানীর বাজারে আছে, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে তার তালিকা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিএসটিআইকে এ নির্দেশ পালন করতে হবে। এ বিষয়ে আগামী ১৫ জুলাই শুনানির পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেছেন আদালত।
বিচারপতি মো: নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ গতকাল রোববার এই আদেশ দেন।
শুনানির শুরুতেই আদালত বিএসটিআইয়ের আইনজীবী সরকার এম আর হাসান ও কর্মকর্তা নুরুল ইসলামের বক্তব্য শোনেন। তারা বলেন, পাস্তুরিত দুধ ও দইয়ের ১৮টি প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স দিয়েছে বিএসটিআই। এই ১৮টির মান ঠিক থাকছে কি না তা দেখভাল করার দায়িত্ব বিএসটিআইয়ের। এর বাইরে কারা দুধ ও দইয়ের ব্যবসায় করছে বা বাজারজাত করছে তা দেখার দায়িত্ব বিএসটিআইয়ের নয়।
তখন আদালত বলেন, লাইসেন্সপ্রাপ্তগুলো দেখার দায়িত্ব আপনাদের হলে লাইসেন্স ছাড়া যেগুলো আছে সেগুলোও দেখার দায়িত্ব আপনাদের। কিন্তু আপনারা বলছেন, দেখার দায়িত্ব আপনাদের না। আপনাদের এই বক্তব্য এফিডেভিট আকারে আদালতে দাখিল করেন।
বিএসটিআইয়ের আইনজীবী দাবি করেন, ঢাকায় অভিজাত দোকানগুলোতে (সুপার শপগুলোতে) এই ১৮টি কোম্পানির দুধ ও দই ছাড়া অনিবন্ধিত কোনো কোম্পানির দুধ বা দই বিক্রি হয় না।
আদালত তখন জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের জাতীয় নিরাপদ খাদ্য গবেষণাগারের (এনএফএসএল) প্রধান ডা: শাহলীনা ফেরদৌসীর প্রতিবেদন দেখিয়ে বলেন, গুলশানের অভিজাত দোকানগুলোতে লাইসেন্সবিহীন কোম্পানির দুধ বিক্রির কথা উল্লেখ রয়েছে। সুতরাং আইনজীবীর ওই বক্তব্য সঠিক নয়। আদালত বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলার অধিকার আপনাদের কে দিয়েছে! লাইসেন্স নেই অথচ দুধ বাজারজাত করছে। এটা দেখার দায়িত্ব কার? জবাবে বিএসটিআইয়ের আইনজীবী বলেন, এটা দেখার দায়িত্ব কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের।
দুদকের আইনজীবী মামুন মাহবুব ও রাষ্ট্রপক্ষের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন এ সময় বলেন, আইনে বিএসটিআইকে ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। তারা দায়িত্ব এড়িয়ে অন্যর ওপর দোষ চাপাচ্ছে।
বিএসটিআইয়ের আইনজীবী অনিবন্ধিত কোম্পানির দুধ ও দই ধ্বংস করার আদেশ চান আদালতের কাছে। তখন আদালত বলেন, আপনারা স্ববিরোধী কথা বলছেন। একটু আগে বললেন, দেখার দায়িত্ব আপনাদের না। এখন আবার ধ্বংস করার আদেশ চাইছেন। এসব বাদ দিন। আগে আপনারা তালিকা দাখিল করুন। বাকিটা আদালত দেখবে। এরপর আদালত দুই সপ্তাহের মধ্যে নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত কোম্পানির তালিকা দাখিলের নির্দেশ দেন।


আরো সংবাদ



premium cement