২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`
হাজারীবাগে ট্যানারির বর্জ্য দিয়ে মাছ-মুরগির খাবার তৈরি

১০ জনের দুই বছর কারাদণ্ড

২৪ লাখ টাকা জরিমানা, ৬ কারাখানা সিলগালা
-

চামড়া শিল্পের (ট্যানারি) বিষাক্ত বর্জ্য দিয়ে হাঁস-মুরগি (পোলট্রি) ও মাছের (ফিসফিড) খাবার তৈরির অপরাধে ১০ জনকে কারাদণ্ড দিয়েছেন রথ্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ ছাড়া ৬টি কারখানা সিলগালা করে তাদের মোট ২৪ লাখ টাকা জরিমানা এবং ২৮ শ’ টন বিষাক্ত পোলট্রি ও ফিসফিড জব্দ করা হয়।
গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টা থেকে রাজধানীর হাজারীবাগে এ অভিযান চলে ভোর পর্যন্ত। র্যাব-২ এর নেতৃত্বে প্রাণিসম্পদ অধিদফতর ও মৎস্য অধিদফতরের সহযোগিতায় এ অভিযান চলে। র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
র্যাব সূত্র জানায়, মঙ্গলবার রাতে হাজারীবাগের ৭-৮টি কারখানায় হানা দেয় রথ্যাব। অভিযানকালে কারখানাগুলোতে ট্যানারির বিষাক্ত বর্জ্য দিয়ে পোলট্রি ও ফিসফিড তৈরির প্রমাণ পাওয়া যায়। এ সময় কারখানা সংশ্লিষ্ট ১০ জনকে দুই বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়। এ ছাড়া ৬টি কারখানা সিলগালা করে তাদেরকে ২৪ লাখ টাকা জরিমানা ও ২৮ শ’ টন বিষাক্ত খাদ্য জব্দ করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চামড়ার বর্জ্যে অধিকমাত্রায় ক্রোমিয়ামসহ ভারী বিষাক্ত ধাতু বিদ্যমান থাকে, যে কারণে এসব পোলট্রি খাবার পশুপাখিসহ মানবদেহের জন্য খুবই ক্ষতি কর। এর পরিণতিতে যে কেউ ক্যান্সার, লিভার সিরোসিসসহ মারাত্মক রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হতে পারে।
র্যাব জানায়, এসব চক্রের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে অভিযান চালানো হলেও তারা আবার একই কাজ শুরু করে। এর আগে চলতি বছরের ২ এপ্রিল ট্যানারির বর্জ্য দিয়ে মৎস্য ও পোলট্রি খাবার তৈরির সব কারখানা বন্ধের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এ ছাড়া যারা ট্যানারির বর্জ্য ব্যবহার করে মৎস্য ও পোলট্রি খাবার তৈরি এবং বিপণন করে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে এক মাসের মধ্যে একটি প্রতিবেদন দিতে হাইকোর্ট থেকে নির্দেশ দেয়া হয়। সংশ্লিষ্ট পাঁচ মন্ত্রণালয়ের সচিব ও পুলিশপ্রধানকে হাইকোর্ট ওই নির্দেশ দিয়েছিলেন।

 


আরো সংবাদ



premium cement