১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মসজিদে মাইকিং করেও কেন্দ্রে আনা যায়নি ভোটার

বন্দর উপজেলা নির্বাচনে রশিদ-সানু-শান্তা জয়ী
-

নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলা নির্বাচনে মসজিদের মাইকে ডেকেও ভোটারদের পাওয়া যায়নি। গতকাল মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত এ নির্বাচন নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন নির্বাচনের দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তারা। সকাল থেকে বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত কোনো কোনো কেন্দ্রে ভোট পড়েছে মাত্র ৫০ থেকে ৬০টা। ইভিএম পদ্ধতিতে এ উপজেলার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
দুপুরে ভোটকেন্দ্রে পরিদর্শনে এসে পুলিশ সুপার হারুনুর রশিদ জানান, ভোটারদের ওপর কোনো প্রকার চাপ নেই। ভোটার উপস্থিতির স্বল্পতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে পুলিশের কিছু করার নেই। তবে প্রচণ্ড গরমের কারণে অনেকেই উপস্থিত হননি। বিকেলে ফলাফল ঘোষণা করে জানানো হয়, বন্দর উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছালিমা হোসেন শান্তা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এবং জাতীয় পার্টি নেতা সানাউল্লা সানু ভাইস চেয়ারম্যান পদে জয়ী হয়েছেন। এর আগে বিনা ভোটে বন্দর উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এম এ রশিদ।
গতকালের নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে জাতীয় পার্টি নেতা সানাউল্লাহ সানুসহ পাঁচজন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। আওয়ামী লীগের একটি গ্রুপ সানাউল্লাহ সানুকে সমর্থন দিয়ে অন্যদের নির্বাচনী মাঠ থেকে সরে যাওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে সমাঝোতার চেষ্টা চালানো হয়। পাশাপাশি নির্বাচনী মাঠ থেকে সরে না দাঁড়ালে হুমকি প্রদানেরও অভিযোগ ছিল। ফলে শেষ পর্যন্ত পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা সানাউল্লাহ সানুর উড়োজাহাজ প্রতীককে সমর্থন দিয়ে নির্বাচনী মাঠে তারা নীরব হয়ে যান।
অপর দিকে নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদা আকতার, মহিলা আওয়ামী লীগ ও সভাপতি ছালিমা হোসেন শান্তা ও যুব মহিলা লীগ নেত্রী নুরুন্নাহার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তাদের মধ্যেও সালিমা হোসেন শান্তা জয়ী হন।
জানা গেছে, মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বন্দরের ৫৪টি কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি একেবারেই ছিল না। দুপুরের পর থেকে বিভিন্ন এলাকার মসজিদগুলোতে মাইকিং করে ভোটারদের কেন্দ্রে আসার জন্য আহ্বান জানানো হয়। তবুও এতে সাড়া পড়েনি ভোটারদের। প্রায় প্রতিটি কেন্দ্রেই দুপুর ৩টা পর্যন্ত ২০ থেকে ৫০টি করে ভোট গ্রহণ হয়।
এবারের বন্দর উপজেলা নির্বাচনের ভোটার সংখ্যা হচ্ছে এক লাখ ১৪ হাজার ৫৫৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার সংখ্যা ৫৮ হাজার ও নারী ভোটার সংখ্যা ৫৬ হাজার ২৬৪ জন। সেই সাথে ভোট কেন্দ্র রয়েছে ৫৪টি। এর মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ৪০টি কেন্দ্র এবং সাধারণ হিসেবে ১৪টি কেন্দ্র ধরা হয়েছিল।


আরো সংবাদ



premium cement