১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`

’৭৫-এর মতো গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধে মরিয়া সরকার : আমীর খসরু

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ লেবার পার্টির আলোচনা সভা : নয়া দিগন্ত -

একদলীয় ভূত বাংলাদেশের গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেছেন, ১৯৭৫ সালে আওয়ামী লীগ গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করে একদলীয় শাসন প্রবর্তন করেছিল। তারা ক্ষমতায় এসে আবারো মরিয়া হয়ে উঠেছে সংবাদপত্রের কণ্ঠরোধ করে একদলীয় শাসন প্রবর্তনের। আজকে ১৬ জুন, প্রায় ৪৫ বছর পরে সংবাদপত্রের ওপর সেই ভূত আবার চেপেছে। সেই ভূতটা হচ্ছে, গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করতে না পারলে একদলীয় শাসন চালানো সম্ভব না। সেদিন তারা গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করেছিল সরকারি একটা আইনের মাধ্যমে। আজকে কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে, তাদের পৃষ্ঠপোষকতায় কিছু গণমাধ্যম সৃষ্টি করে। আর যারা নিরপেক্ষ স্বাধীন তাদের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে রাষ্ট্রীয় কিছু সংস্থাকে ব্যবহার করে। একটা লাইন দেয়া আছে, ওই লাইন অতিক্রম করলেই গণমাধ্যমের ওপর বাধা চলে আসে, তারা বাধাগ্রস্ত হয়ে পড়ে।
গতকাল রোববার দুপুরে সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে বাংলাদেশ লেবার পার্টির উদ্যোগে ১৬ জুন সংবাদপত্রের কালো দিবস উপলক্ষে ‘গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও আজকের বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় খসরু এসব কথা বলেন।
লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা: মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির আবু নাসের মো: রহমাতুল্লাহ, এনডিপির আবু তাহের, শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের মহাসচিব জাকির হোসেন, লেবার পার্টির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ফারুক রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
আমীর খসরু বলেন, গণমাধ্যমে আজকে সাংবাদিক নাই, তারা নিজেরাই বলে আমরা সাংবাদিক না। তাদের হুকুম তামিল করা ছাড়া কোনো কিছু করার থাকে না এবং তার জন্য অনেকে কিন্তু সংবাদকর্মী হিসেবে কাজ করতে চাচ্ছে না। অনেকে চাকরি ছেড়ে দিচ্ছে, অনেকে গণমাধ্যম থেকে সরে যাচ্ছে। যারা বিবেকবান সাংবাদিক তারা অন্যত্র চাকরি খুঁজছেন, অনেকে বিদেশে চলে যাচ্ছেন। আপনি দেখবেন, সংবাদ যাতে গুরুত্ব না পায় সেজন্য অনেক গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানে ছাঁটাই চলছে, অনেককে বিদায় করে দেয়া হয়েছে এবং অনেককে বিদায় করার পাঁয়তারা চলছে। এই হচ্ছে গণমাধ্যমের অবস্থা। প্রস্তাবিত বাজেটের সমালোচনা করে সাবেক এই বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এই বাজেট একটি গোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষায় করা হয়েছে। এই গোষ্ঠী হচ্ছে, যারা সংসদ সদস্য হয়েছেন তারা আছে, ব্যাংকের মালিকরাও আছেন, বাজার দখল করে বসে আছেন তারা আছেন, একই গোষ্ঠী সরকারে বসে আছেন। সুতরাং যে লোকগুলো আজকে সার্বিক ক্ষমতা দখল করে বসে আছে তারা তো তাদের স্বার্থেই বাজেট করবেÑ এটাই স্বাভাবিক।


আরো সংবাদ



premium cement