২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

শ্রমজীবী মানুষের আশা আকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটেনি বাজেটে : স্কপ

-

জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য উত্থাপিত বাজেট গতানুগতিক ধারায় প্রণীত হয়েছে। এতে শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের আশা আকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটেনি বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্যপরিষদের নেতৃবৃন্দ। তারা বলেন, এই বাজেট প্রবৃদ্ধি এবং বৈষম্য দুটোই বাড়াবে। মালিকের সম্পদ এবং শ্রমিকের দুর্দশা বৃদ্ধি করবে। নেতৃবৃন্দ বাজেটে শ্রমিকদের জন্য সুস্পষ্ট কোনো বরাদ্দ না থাকায় হতাশা ব্যক্ত করেন।
গতকাল বাজেট সম্পর্কে প্রতিক্রীয়া প্রকাশের এক বিবৃতিতে শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্যপরিষদের (স্কপ) নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।
বাজেটের বিশালত্ব নিয়ে অর্থমন্ত্রীর গর্ব থাকলেও এই বাজেটে শ্রমিকেরা তাদের কোনো স্থান খুঁজে পাচ্ছে না। বাজেটে মালিকদের জন্য কর ছাড়, রফতানি প্রণোদনা, ঋণ সহজীকরণ, খেলাপি ঋণ মওকুফ, উদ্যোক্তা তহবিলসহ প্রকাশ্য অপ্রকাশ্য অনেক সুযোগ দেয়া হলেও শ্রমিকের জন্য কিছুই নেই। অথচ এই শ্রমজীবী মানুষ পরোক্ষ করের বিপুল বোঝা বহন করে থাকে। অর্থমন্ত্রী এবং তার মন্ত্রণালয় দেশের ছয় কোটি ৩৫ লাখ শ্রমজীবী মানুষ যারা কৃষি, শিল্প ও সেবা খাতে শ্রম দিয়ে অর্থনীতির চাকাকে সচল রেখেছে, যাদের শ্রমে রফতানি আয় এবং রেমিট্যান্স আসে সেই দেশী ও প্রবাসী শ্রমিকদের প্রতিনিধিদের সাথে বাজেট প্রণয়নে কোনো আলোচনা করার প্রয়োজন বোধ করেনি। এই বাজেটে ১৪৭০০০ : কোটি টাকার বিশাল ঘাটতি রয়েছে। ঘাটতি পুরনের অন্যতম উৎস হিসাবে ৪৭০০০ কোটি টাকা ব্যাংকিং খাত থেকে ধার নেয়া হবে। এই টাকা ব্যাংকিং খাত থেকে আদায় করলে ব্যাংকিং খাতের বর্তমান শোচনীয় অবস্থা আরো শোচনীয় হবে। শিল্প ও স্বাস্থ্য খাতে এই বাজেটে অনেক ইতিবাচক প্রতিশ্রুতি থাকলেও অর্থ বরাদ্দের ক্ষেত্রে তার কোনো প্রতিফলন নেই। গরিব ও মেহনতি মানুষের বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবার কোনো দিকনির্দেশনাও নেই। কৃষি খাতেও অর্থ বরাদ্দ তুলনামূলক কম। পাট শিল্প সম্পর্কে বাজেট বক্তৃতায় ‘সোনালি ভবিষ্যতের কথা বলা হয়েছে’। কিন্তু পাট শিল্প পুনরুদ্ধারের জন্য ব্যবস্থাপনা সংস্কার প্রয়োজন সে সম্পর্কে কোনো সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ও অর্থ বরাদ্দ নেই বাজেটে। নতুন ও উন্নত প্রযুক্তির মেশিনারি দিয়ে পাট শিল্পের উৎপাদন বৃদ্ধির কোনো দিকনির্দেশনা নেই। পাট শিল্প শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধ ও জাতীয় মজুরি কমিশন বাস্তবায়নের জন্য বাজেটে কোনো বরাদ্দ রাখা হয়নি। বাজেটে পোশাক খাতের মালিকদের জন্য প্রণোদনার ব্যবস্থা রাখা হলেও পোশাক শিল্পে শ্রমিকদের জন্য কোনো বরাদ্দ রাখা হয়নি। শ্রমিক-কর্মচারী তথা নি¤œ আয়ের মানুষের জন্য রেশনিং বা সামাজিক সুরক্ষার কোনো নির্দেশনা বা নিশ্চয়তা বাজেটে নেই। সামাজিক সুরক্ষা খাতে এ বছর বাজেটে যে দশ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে তা মূলত গ্রামাঞ্চলেই ব্যবহৃত হবে।


আরো সংবাদ



premium cement