১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`

রাজধানীতে ডাটাবেজের বাইরে কেউ থাকবে না : ডিএমপি কমিশনার

-

রাজধানীতে বসবাসরত নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করেছে পুলিশ। ২০১৬ সালে এই উদ্যোগ নেয়া হলেও মাঝে তা কিছুটা স্তিমিত হয়ে যায়। তবে নতুন করে শুরু করা এই উদ্যোগে রাজধানীর কোনো নাগরিক ডাটাবেজের বাইরে থাকবে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার (ডিএমপি) আছাদুজ্জামান মিয়া। এই ডাটাবেজ সম্পন্ন হলে নাগরিক সেবার পরিধি যেমন বাড়বে, তেমনি কমে আসবে অপরাধ। গতকাল ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে ‘নাগরিক তথ্য সংগ্রহ সপ্তাহ ২০১৯’ উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার।
‘নাগরিক তথ্য সংগ্রহ সপ্তাহ ২০১৯’ এর সেøাগান হচ্ছেÑ ‘আপনার তথ্য থানায় জমা দিন, পুলিশকে সহায়তা করুন’; ‘নিজে নিরাপদ থাকুন অন্যকে নিরাপদে রাখুন’; ‘সন্ত্রাস, উগ্রবাদ এবং অপরাধের হুমকি থেকে এই মহানগরীর মানুষকে সুরক্ষিত রাখুন।’
ডিএমপি কমিশনার বলেন, গত ১৩ জুন পর্যন্ত সিআইএমএস সফটওয়ারে বাড়িওয়ালা দুই লাখ ৪১ হাজার ৫০৭ জন, ভাড়াটিয়া এক লাখ ৮২ হাজার ৯৪ জন, মেস সদস্য এক লাখ ২১ হাজার ৪০ জন, অন্যান্য ১১০০ জন, পরিবারের সদস্য সংখ্যা ৩১ লাখ ৬৬ হাজার ৮২১ জন ও গাড়ি চালক, গৃহকর্মী আট লাখ ৮৩ হাজার ৯৮৪ জনসহ সর্বমোট ৬২ লাখ ৩৪ হাজার ৫৪৭ জনের তথ্য সংরক্ষিত আছে। এই সিস্টেমে প্রতিটি নাগরিকের জন্য একটি ইউনিক ইনডেস্ক নম্বর দেয়া আছে। সেই নম্বর দিয়ে সিস্টেমে সার্চ দিলে কাক্সিক্ষত নাগরিকের বিস্তারিত তথ্য জানা যায়।
সন্ত্রাস ও উগ্রবাদ দমনে বাংলাদেশের সাফল্য বিশ্বের কাছে প্রশংসিত হয়েছে জানিয়ে আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, সিআইএমএস সফটওয়ারের মাধ্যমে বাড়িওয়ালা ও ভাড়াটিয়াদের তথ্য সংগ্রহ করার ফলে আমাদের এই সাফল্য এসেছে। হোলে আর্টিজান হামলার পর থেকে ঢাকা শহরে নাগরিকের সঠিক তথ্য প্রদান ছাড়া কেউ বাসা ভাড়া নিতে পারে না।
ডিএমপির পুলিশ প্রধান বলেন, প্রকল্পের মাধ্যমে নাগরিক তথ্য সংগ্রহ করতে হলে রাষ্ট্রের অনেক টাকা খরচ হতো। কিন্তু স্বল্প সময়ের মধ্যে রাষ্ট্রের কোনো রকম অর্থ ব্যয় ছাড়া পুলিশ অক্লান্ত পরিশ্রম করে নগরবাসীর তথ্য সংগ্রহ করে যাচ্ছে। আমরা নাগরিকদের কাছ থেকে গৃহীত তথ্য নিরাপদে সংরক্ষণ করছি। তিন বছরে কোনো নাগরিকের তথ্য ফাঁসের ঘটনা ঘটেনি। ভবিষ্যতে যাতে না ঘটে আমরা এ ব্যাপারে সচেষ্ট আছি। সিআইএমএস সফটওয়ারের মাধ্যমে আমাদের অপরাধ ডিটেকশনের হার অনেক গুণ বেড়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি ও সিআইএমএস ব্যবহারের ফলে ট্রেডিশনাল ক্রাইম হ্রাস পেয়েছে। শুধু নাগরিক তথ্য সংগ্রহই নয়, সিআইএমএস ভূমিকা রাখছে নাগরিক নিরাপত্তা বিধানে।
নাগরিক তথ্য সংগ্রহ সপ্তাহের গুরুত্ব সম্পর্কে ডিএমপি কমিশনার বলেন, বর্তমানে আমরা লক্ষ্য করছি অনেকে নাগরিক তথ্য দিতে গড়িমসি করছে। নগরবাসীকে অনুরোধ করে তিনি বলেন, আপনারা নিজে নিরাপদ থাকুন অন্যকে নিরাপদে রাখুন। সন্ত্রাস, উগ্রবাদ এবং অপরাধের হুমকি থেকে এই মহানগরীর মানুষকে সুরক্ষিত রাখতে তথ্য দিয়ে পুলিশকে সহায়তা করুন। এ সময় সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


আরো সংবাদ



premium cement
সম্ভাবনা সত্ত্বেও সামুদ্রিক সম্পদ আহরণে ঘাটতির কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী লাল গালিচা, ডুবুরি আর একলা সন্ন্যাসী রাঙ্গামাটিতে বজ্রপাতে কিশোরীর মৃত্যু জামালপুরে ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে অটোরিকশা চুরির মামলা কেএনএফ সদস্যদের আদালতে উপস্থাপন, ৫২ জনের রিমান্ড মঞ্জুর ৬ জেলায় বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ রাখাইনে তুমুল যুদ্ধ, মর্টার শেলের শব্দে প্রকম্পিত সীমান্ত এলাকা হামলার ব্যাপারে ইসরাইল নিজেই সিদ্ধান্ত নেবে : নেতানিয়াহু ইরানের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে পাশ্চাত্যের দেশগুলো সিদ্ধিরগঞ্জে দুর্ধর্ষ ডাকাতি, নগদ টাকাসহ ৮০ লাখ টাকার মালামাল লুট প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

সকল