শেখ হাসিনা দেশ ও জাতির মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছেন : খাদ্যমন্ত্রী

দেশ আজ উন্নয়নের মহা সড়কে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়ন ও মানুষের ভাগ্য বদলের সুযোগ পৌঁছে দিয়েছেন ঘরে ঘরে। তার সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ও সামাজিক অগ্রগতির যুগ সন্ধিক্ষণে। নানা প্রতিবন্ধকতা দূর করার সাথে অপশক্তি রুখে দিয়ে তিনি দেশের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছেন। তার নীতিনিষ্ঠ রাজনীতির কারণেই ইতিবাচক সাফল্য অর্জিত হয়েছে। ২০২৪ সালের মধ্যে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশের তালিকাভুক্ত হবে। এ ব্যাপারে নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে সরকার। শেখ হাসিনার রাজনীতির মূল আদর্শ হচ্ছে সেবা ও ত্যাগÑ এ আদর্শ এখন জাতীয় আদর্শে পরিণত হয়েছে। বিশ্ববাসী উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বাংলাদেশকে উদাহরণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। মানুষ চায় সেই রাজনীতি, যে রাজনীতি সত্যিকারের দেশপ্রেমিক তৈরি করে। আগামীতে রাজনীতিতে অর্থহীন নেতা, সন্ত্রাসবাদী নেতার কোনো স্থান হবে না।
গতিশীল জাতীয় প্রসঙ্গ বিশ্বশান্তি ও মানবাধিকার সঙ্ঘ বাংলাদেশ আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এসব কথা বলেন। নীতিনিষ্ঠ শেখ হাসিনা নানামুখী চ্যালেঞ্জ ও বিশ্বকল্যাণ বার্তা শীর্ষক ওই সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ও কলামিস্ট ফনিন্দ্র সরকার। বেনজীর আহমেদের সভাপতিত্বে সেমিনারে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ, আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী ও ফোরকান আহমেদ, গণতন্ত্রী পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য নুরুর রহমান সেলিম, সমকালের যুগ্ম সম্পাদক অজয় দাশ গুপ্ত, মুক্তিযোদ্ধা এম এ আশরাফ, মোশাররফ হোসেন বাবু। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সভাপতি অ্যাডভোকেট এম এ মজিদ।
মূল প্রবন্ধে ফনিন্দ্র সরকার বলেন, শেখ হাসিনা দেশকে স্বয়ংসম্পূর্ণতার দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। বর্তমান সমাজ আত্মপ্রতিষ্ঠার রাজনীতি দিয়ে ভরা। এখানে যেন বিদ্যা ও প্রতিভার কোনো স্থান নেই। এ রকম অবস্থায় শান্তির ভাবনা হবে নিরর্থক। শেখ হাসিনা এ বিষয়গুলো উপলব্ধি করে জাতিসঙ্ঘে মানবিক মূল্যবোধের কথা তুলে ধরেছেন।
আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, কাল প্রবাহ এই বাংলাদেশে অনেক বিস্ময়কর ও অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটে গেছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে ধারণা করা যেতে পারে আগামী দিনগুলোতে বর্তমান বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান রূপকার হিসেবে শেখ হাসিনার সরকার অমর হয়ে থাকবেন সারা বিশ্বে। অধ্যাপক আব্দুল মান্নান বলেন, পরিবর্তিত রাজনীতির ইতিহাসে শেখ হাসিনা নীতিনিষ্ঠ ও তাৎপর্যপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। সুজিত রায় নন্দী বলেন, অনুপ্রবেশকারীদের জায়গা আওয়ামী লীগে হবে না। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা শেখ হাসিনার হাতেই প্রতিষ্ঠিত হবে। নুরুর রহমান সেলিম বলেন, প্রগতিশীল অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তোলার আত্মবিশ্বাস নিয়েই শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন। আমরা তার পাশে আছি। অজয় দাশ গুপ্ত বলেন, শেখ হাসিনা আমাদের আস্থার বাতিঘর। তিনি মূল্যবোধের রাজনীতিকেই প্রতিষ্ঠা করে যাচ্ছেন। অটিস্টিক শিশুদের সরকারিভাবে দায়িত্ব নেয়ায় যে অঙ্গীকার করেছেন তা সত্যি মহোত্তম কাজ।
মোশাররফ হোসেন বাবু বলেন, শেখ হাসিনার মহানুভবতা বিশ্বে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। সভাপতির বক্তব্যে অ্যাডভোকেট এম এ মজিদ বলেন, শেখ হাসিনার একজন কর্মী হিসেবে কাজ করার সুযোগ পেয়ে গর্বিত বোধ করছি। দেশ-জাতির কল্যাণে তিনি যেসব কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন তা বাস্তবায়নে আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাবো। উগ্রবাদ, সন্ত্রাসবাদ রুখে দিতে আমরা বদ্ধপরিকর। শেখ হাসিনা তার নীতি নৈতিকতার জন্যই বিশ্ব সভায় নানা পদকে ভূষিত হয়েছেন, বাঙালি ও বাংলাদেশকে গৌরবের আসনে অধিষ্ঠিত করতে পেরেছেন।