১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`

  গোপালগঞ্জে ভুল ইনজেকশনে জীবন সংশয়ে ভার্সিটি ছাত্রী

-

গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপতালে ভুল ইনজেকশন পুশ করায় জীবন সংশয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী মরিয়ম সুলতানা মুন্নি। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় খুলনার শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। মরিয়মের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। গতকাল বিকেল পর্যন্ত তার অবস্থার কোনো উন্নতি না হওয়ায় এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে ঢাকায় নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। এতে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর চাচা জাকির হোসেন বিশ্বাস গত মঙ্গলবার রাতে গোপালগঞ্জ সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে শেখ সায়েরা খাতুন মেডিক্যাল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডা: মাসুদুর রহমানকে প্রধান করে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
মরিয়ম সুলতানা মুন্নি (২২) গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চন্দ্রদিঘলিয়া গ্রামের মো: মোশারফ হোসেনের মেয়ে। তিনি গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী।
চাচা জাকির হোসেন বিশ্বাস জানান, তিন মাস আগে অসুস্থ অবস্থায় মুন্নিকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে সার্জারি বিভাগের ডা: তপন কুমার মণ্ডল মরিয়মের শারীরিক পরীক্ষা করতে দেন। পরীক্ষার পর মুন্নির পিত্তথলিতে পাথর ধরা পড়েছে বলে জানান ডা: তপন। এ সময় তিনি হাসপাতালে ভালো অপারেশন হয় না উল্লেখ করে বাইরের ক্লিনিকে অপারেশন করে দেবেন বলে জানান। আমরা রাজি না হওয়ায় তিনি এই তিন মাস ঘোরাতে থাকেন। সর্বশেষ গত সোমবার গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। ডা: তপন কুমার মণ্ডলের তত্ত্বাবধায়নে গত মঙ্গলবার সকালে শরীরে অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত হয়। মুন্নিকে হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে নেয়ার আগেই ডা: তপনের নির্দেশে ওয়ার্ডে কর্মরত নার্স শাহানাজ পারভীন ও কোহেলিকা মুন্নির শরীরে অ্যান্টিবায়োটিক ইনজেকশনের পরিবর্তে ভুল করে অজ্ঞান করা ইনজেকশন পুশ করেন। এর পরই মুন্নি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। ধীরে ধীরে ওই ছাত্রীর অবস্থার অবনতি হতে থাকে। হাসপাতালের চিকিৎসকেরা দায় এড়াতে জরুরি ভিত্তিতে তাকে খুলনা শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন।
মুন্নির মা হাজেরা বেগম বলেন, ‘মরিয়মকে ভুল ইনজেকশন দেয়া হয়েছে। এতে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে চিকিৎসকেরা তার শ্বাসনালীতে পাইপ দিয়ে অক্সিজেন সরবরাহ করে তাকে বাঁচিয়ে রাখে। এতে তার ব্রেনের মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। খুলনায় ভর্তি করা হলেও এখনো জীবন সংশয়ে রয়েছে আমার মেয়ে। এখন ওই হাসপাতালের চিকিৎসকেরা মরিয়মকে ঢাকা নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। আমি এ ঘটনায় জড়িত থাকা ডাক্তার ও সেবিকাদের বিচার চাই।
অভিযুক্ত ডা: তপন কুমার মণ্ডল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ওই রোগী আমার তত্ত্বাবধায়নে ছিল না। আমি নার্সদেরকে কোনো ইনজেকশন পুশ করার কথাও বলিনি।


আরো সংবাদ



premium cement
‘ইরানের হামলার জবাব কিভাবে দেবে ইসরাইল নিজেই সিদ্ধান্ত নেবে’ ইরানের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে পাশ্চাত্যের দেশগুলো সিদ্ধিরগঞ্জে দুর্ধর্ষ ডাকাতি, নগদ টাকাসহ ৮০ লাখ টাকার মালামাল লুট প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী পরীমণির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার আবেদন স্থায়ী যুদ্ধবিরতি না হওয়ায় গাজায় মানবিক প্রচেষ্টা সম্পূর্ণ ব্যর্থ : রাশিয়া পিকআপচালককে হত্যা করে রেললাইনে লাশ ফেল গেল দুর্বৃত্তরা এক মাস না যেতেই ভেঙে গেলো রাজকীয় বিয়ে! ইউক্রেনে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত ১৭ নোয়াখালীতে মেলায় সংর্ঘষ নিহত ১ কবরস্থান থেকে বৃদ্ধার বস্তাবন্দি লাশের রহস্য উন্মোচন : পুত্রবধূ ও নাতনি গ্রেফতার

সকল