১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

স্পিকারের সাথে সাক্ষাৎ জাতিসঙ্ঘ প্রতিনিধিদলের

-

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সাথে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসঙ্ঘের আবাসিক সমন্বয়কারী মিয়া সেপ্পোর নেতৃত্বে কূটনৈতিক প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎ করেছেন। গতকাল স্পিকারের সচিবালয়ের কার্যালয়ে তারা এ সাক্ষাৎ করেন।
প্রতিনিধিদলের অন্য সদস্যরা হলেন নরওয়ের রাষ্ট্রদূত মিজ সিডসেল ব্লাকেন, সুইডেনের রাষ্ট্রদূত চারলোট্টা স্লাইটার, সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেনে হোলেন্স টেইন, যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার চ্যাটারটন ডিকসন, যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার, ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের ফার্স্ট সেক্রেটারি (পলিটিক্যাল) মিজ এরিকা হ্যাজনস, ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জী প্রমুখ। এ সময় জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সাক্ষাৎকালে তারা সংসদীয় গণতন্ত্র, সরকারের জবাবদিহিতা, মানবাধিকার কমিশনের বিদ্যমান আইন ও কার্যাবলি এবং গণতন্ত্রের বিকাশে সুশীল সমাজের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন।
স্পিকার বলেন, সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে সংসদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এ ছাড়াও গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজের ভূমিকা অনস্বীকার্য। বাংলাদেশে গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজ বেশ শক্তিশালী হওয়ায় গণতন্ত্রের বিকাশে কার্যকর ভূমিকা রাখছে।
মিয়া সেপ্পো বাংলাদেশে মানবাধিকার কমিশন এবং কমিশনের বিদ্যমান আইন সম্পর্কে আলোকপাত করেন। পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রগুলোর মানবাধিকার কমিশন যেসব আইন দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে তা বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের আইনে সংশোধনী আনা প্রয়োজন কি না সে বিষয়টিতে দৃষ্টি দেয়া উচিত বলেও তিনি মনে করেন। বাংলাদেশে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় এবং সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে জাতিসঙ্ঘ ও সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি দৃঢ়প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
স্পিকার একমত পোষণ করে বলেন, মানবাধিকার কমিশনের আইন পর্যালোচনা করা যেতে পারে। আইন মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়ে তিনি প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেবেন বলে প্রতিনিধিদলকে আশ্বস্ত করেন।


আরো সংবাদ



premium cement