বর্তমানে সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো অনৈতিকতা : শাহ্ আব্দুল হান্নান
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ২০ মে ২০১৯, ০০:০০
সাবেক সচিব ও মানারাত ট্রাস্টের চেয়ারম্যান শাহ্ আব্দুল হান্নান বলেছেন, বর্তমান পৃথিবীতে সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো অনৈতিকতা। যারা ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হচ্ছেন তারা মিথ্যাচার ও অনৈতিক কর্মকাণ্ড করছেন বেশি। আল্লাহর ওপর বিশ্বাস না থাকার কারণেই এ অনৈতিকতার প্রসার ঘটছে। সৃষ্টিকর্তায় অবিশ্বাসীদের কাছ থেকে কখনো নৈতিকতা আশা করা যায় না।
গতকাল মানারাত ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ আয়োজিত রমজানের গুরুত্ব ও তাৎপর্য শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। ফুয়াদ আবদুল হামিদ আল খতিব অডিটোরিয়ামে ওই সেমিনারে কলেজের অধ্যক্ষ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) মো: মেহ্দী হাসান প্রামাণিক ৩য় পৃষ্ঠার পর
পিএসসির সভাপতিত্বে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। ধানমন্ডি সুবহানবাগ মসজিদ ও মাদরাসা কমপ্লেক্সের খতিব শাহ মোহাম্মদ ওয়ালি উল্লাহ। আরো উপস্থিত ছিলেন মানারাত ট্রাস্টের সেক্রেটারি সৈয়দ এ বি জাফর আহমেদ, মানারাতের সাবেক ভিসি এম ওমর আলী, কলেজের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর আবদুল হামিদ খান, সিনিয়র প্রভাষক লুৎফর রহমান কাসেমী, আরবি ও ইসলাম শিক্ষা বিভাগের শিক্ষক হাফেজ মাহমুদুল হাসান প্রমুখ।
শাহ্ আব্দুল হান্নান বলেন, পবিত্র রমজানে কুরআন মজিদ নাজিল হয়েছিল। এ রমজানেই হজরত মুহাম্মদ (সা:) নবুওয়াত পান। মানবজাতির সব সমস্যার সমাধান রয়েছে এ কুরআনে। এ কুরআনের মাধ্যমে নবী (সা:) তাওহিদ ও ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। এজন্য বর্তমান সময়ে মুসলমানদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো বেশি বেশি কুরআন বুঝে পড়া। তিনি বলেন, হজরত মুহাম্মদ (সা:) ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। অথচ এখন অনেকে বলেন ইসলামে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কথা নেই। তাহলে নবী (সা:) মদিনা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে গেলেন কেন?
সাবেক এ সচিব বলেন, আল্লাহ কুরআনের মাধ্যমে নবীকে বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়েছেন। কাজের পথ বলে দিয়েছেন। এ কুরআনে মানুষকে সদাচরণ, সৎ ব্যবহার, ক্ষমা করা, রাগ না করার জন্য বলা হয়েছে। অথচ আমরা এখন কিছু হলেই রেগে যাই। এটা মুত্তাকিদের আচারণ নয়। তিনি বলেন, কুরআন আমাদের মূল্যবোধ শিক্ষা দিয়েছে। মা-বাবাকে কিভাবে সম্মান করতে হবে। তাদের সাথে ভালো ব্যবহার করতে হবে তা বলা হয়েছে। অথচ আজ আমরা কি দেখছি? এখন রাস্তায় যাদের ভিক্ষা করতে দেখা যায় তাদের অধিকাংশই বৃদ্ধ নারী-পুরুষ। যাদের এখন সন্তানদের ভালোবাসায় পরিপূর্ণ থাকার কথা ছিল। আল্লাহর কাছে নারী-পুরুষ সবাই সমান মন্তব্য করে বিশিষ্ট এ ইসলামী চিন্তাবিদ বলেন, কিছু লোক আছে নারীবিরোধী কথা বলেন। আবার কেউ কেউ পুরুষবিরোধী বক্তৃতা করেন। এটা ঠিক নয়। দায়িত্ব ও মর্যাদার প্রশ্নে কখনো নারীকে আবার কখনো পুরুষকে বেশি সম্মান দেয়া হয়েছে। রাসূল (সা:)-এর কাছেও নারীদের যথেষ্ট গুরুত্ব ছিল মন্তব্য করে তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে ক্ষমতাসীনদের অনেক প্রটোকল রাখতে হয়। কিন্তু হজরত মুহাম্মদ (সা:)-এর কোনো প্রটোকল ছিল না। তার কাছে নারীরাও সরাসরি বিভিন্ন প্রশ্ন করতে পারতেন।
মূল প্রবন্ধে শাহ ওয়ালি উল্লাহ কুরআন ও হাদিসের উদ্ধৃতি দিয়ে রমজানের গুরুত্ব সম্পর্কে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, হিজরতের দ্বিতীয় বছরে রোজা ফরজ করা হয়েছে। আল্লাহ মানুষকে মুত্তাকি হওয়ার সুযোগ দিতে এ রোজার বিধান দিয়েছেন। সিয়াম সাধনার মাধ্যমে মানুষ আত্মশুদ্ধি ও পবিত্রতা অর্জন করে। কিন্তু এমন অনেক মানুষ আছে যাদের রোজা রাখায় ক্ষুধা ও পিপাসায় কাতর হওয়া ছাড়া কিছুই হয় না। এজন্য এ ব্যাপারে আমাদের সচেতন থাকতে হবে।