২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

অস্ত্রের ভুয়া লাইসেন্স ৩৯১ জনের বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট

-

স্বাক্ষর জাল করে ৩৮৯ জনকে অস্ত্রের ভুয়া লাইসেন্স দেয়ার অভিযোগে রংপুর জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের এক কম্পিউটার অপারেটরসহ ৩৯১ জনের সম্পৃক্ততা খুঁজে পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এক মামলার তদন্তে এই তথ্য বেরিয়ে আসার পর তাদের সবার বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে সংস্থাটি।
২০১৭ সালের ১৮ মে রংপুর কোতোয়ালি থানায় অবৈধভাবে অস্ত্রের লাইসেন্স দেয়ার অভিযোগে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিকের বিরুদ্ধে মামলা হয়। পরে মামলাটি তদন্তের জন্য দুদককে দায়িত্ব দেয় আদালত। তদন্তে বেআইনিভাবে ৩৮৯ জনকে অস্ত্রের লাইসেন্স দেয়া এবং মাধ্যম হিসেবে কাজ করার অভিযোগে আরেকজনসহ মোট ৩৯১ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র অনুমোদন করেছে কমিশন। সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মো: আতিকুর রহমান এ তদন্ত করেন। দুদক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
দুদক জানায়, রংপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অফিস সহকারী শামসুল ইসলাম ২০১১ সাল থেকে ২০১৭ সালের ১৬ মে পর্যন্ত সময়ে সেখানে কর্মরত ছিলেন। ওই সময়ে তিনি ডিসি অফিসের আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স শাখার ভলিউম সংরক্ষণ, লাইসেন্স প্রত্যাশীদের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরবার আবেদন গ্রহণ করে দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী কমিশনারের কাছে তা উপস্থাপন, পুলিশ প্রতিবেদন গ্রহণ এবং লাইসেন্স প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার অনুমোদিত হলে ফরমে এবং ভলিউমের পাতায় প্রয়োজনীয় তথ্য লিখে জুডিশিয়াল মুন্সিখানা শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার স্বাক্ষর গ্রহণ করে লাইসেন্স প্রদান এবং নবায়ন করার কাজে নিয়োজিত ছিলেন। এ কাজে নিয়োজিত থেকে তিনি অবৈধভাবে আর্থিক লাভবান হয়ে ২১টি ভলিউমের ৩৮৯টি লাইসেন্সের পুরনো পাতা ছিঁড়ে এতে নতুন পাতা সংযোজন করে প্রতারণা ও জালিয়াতি করে তৎকালীন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার স্বাক্ষর জাল করে ৩৮৯ জন ব্যক্তির নামে এসব এসব ভুয়া লাইসেন্স দেন। এসব কাজের মাধ্যমে ঘুষ হিসেবে তিনি ২০ লাখ ১০০ টাকা অর্জন করে তার ব্যবহৃত আলমারিতে নগদ, সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংক এফডিআরের মাধ্যমে রেখেছেন। তদন্তের সময় ৩৫৭টি অবৈধ লাইসেন্স, ৩৫৪টি অস্ত্র ও চার হাজার ৩৮টি কার্তুজ উদ্ধার করে আদালতে জমা দেয়া হয়।
অবৈধভাবে লাইসেন্স পাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে অধিকাংশই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্য বলে জানা গেছে। আসামিদের মধ্যে সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবিসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্য আছেন। তাদের অনেকেই রাজনৈতিক ব্যক্তিসহ বড় বড় ব্যবসায়ীর নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

 


আরো সংবাদ



premium cement