২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের বাজেট আলোচনা

২০৩০ সাল পর্যন্ত কর অব্যাহতি চান পোলট্রি খাতের উদ্যোক্তারা

-

কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি ও পণ্য রফতানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের স্বার্থে ২০৩০ সাল পর্যন্ত কর অব্যাহতির দাবি জানিয়েছে পোলট্রি খাতের সাথে সংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তাদের বিভিন্ন সংগঠন। আসন্ন বাজেটকে সামনে রেখে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সম্মেলন কক্ষে গতকাল মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত আলোচনায় এ দাবি জানানো হয়। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো: মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠকে অন্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এহতেশাম বি শাহজাহান, সিনিয়র সহসভাপতি ফজলে রহিম খান শাহরিয়ার, সাংগঠনিক সচিব মো: আনোয়ারুল হক, ব্রিডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আসিফুর রহমান, আহকাব সভাপতি ডা: নজরুল ইসলাম, বিপিআইএ মহাসচিব ডা: এম এম খান, বিপিআইসিসি সচিব দেবাশিস নাগ, উপদেষ্টা শ্যামল কান্তি ঘোষ প্রমুখ।
পোলট্রি নেতারা বলেন, বিশ্বের বড় বড় দেশগুলোতে যেখানে পোলট্রি ও ফিস ফিড তৈরির অত্যাবশ্যকীয় কাঁচামাল নিজ দেশে উৎপাদিত হওয়ার পরও খামারিদের ভর্তুকি দেয়া হচ্ছে; সেখানে আমাদের দেশে ভুট্টা, সয়াবিন মিল, ওষুধসহ বেশির ভাগ কাঁচামাল আমদানিনির্ভর হওয়া সত্ত্বেও এ খাতের ওপর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ করের বোঝা চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। শিল্প সংশ্লিষ্টরা যেহেতু ২০২৫ সালের মধ্যেই রফতানি শুরু করতে চান এবং ২০৩০ সাল নাগাদ বিশ্ব বাজারে একটা শক্ত অবস্থান সৃষ্টি করতে চান, তাই ২০৩০ সাল পর্যন্ত সব ধরনের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর থেকে অব্যাহতি জরুরি বলে মনে করছেন তারা।
দেশের ডিম ও মুরগির গোশতের উৎপাদন ব্যয় বছরে প্রায় ২.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার জানিয়ে অনুষ্ঠানে জানানো হয়, দেশীয় পোলট্রি শিল্প গড়ে না উঠলে প্রতি বছর এই বিশাল অঙ্কের বৈদেশিক মুদ্রা খরচ করতে হতো ডিম ও মুরগির গোশত আমদানির পেছনে। সরকার চাচ্ছে ২০২১ সালের মধ্যে মাথাপিছু ডিমের বার্ষিক কনজাম্পশন ৯০ থেকে বাড়িয়ে ন্যূনতম ১০৪টিতে এবং গোশতের কনজাম্পশন ৬.৫ কেজি থেকে বাড়িয়ে ৭.৫ কেজিতে উন্নীত করতে। সেটি করতে হলে ঠিক এই মুহূর্তে চাহিদা ও জোগানের যে চিত্র তাতে বছরে অন্তত ২৩৪ কোটি ৮২ লাখ ডিম এবং ১ লাখ ৮৫ হাজার টন মুরগির গোশতের উৎপাদন বাড়াতে হবে। আর যদি রফতানিতে যেতে হয় তবে বছরে অন্তত ১২০০ কোটি ডিম ও ৮ লাখ টন মুরগির গোশতের উৎপাদন বাড়াতে হবে। এজন্য শুল্ক-করহার যৌক্তিক করার দাবি জানান তারা।

 


আরো সংবাদ



premium cement