কাফরুলে বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ড
মগবাজারে ভবনের ভেতরে গাড়িতে আগুন- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ১৬ এপ্রিল ২০১৯, ০০:০০
এবার মিরপুরের কাফরুল থানার ১৪ নম্বর সেকশনের একটি বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। গত রোববার বিকেল ৫টার দিকে খান ম্যানসন নামক ১০ তলা ভবনটির ৬ তলায় এ আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১৫টি ইউনিট প্রায় সোয়া ২ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে দু’জন ফায়ারম্যান আহত হয়েছেন। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন্স ও মেইনটেইনেন্স) মেজর শাকিল নেওয়াজ আগুন নিভিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ১০ তলাবিশিষ্ট ওই ভবনের ৬ ও ৭ তলার এক পাশে আগুন লাগে। যেখান থেকে (৬ তলা) আগুনের সূত্রপাত- সেখানে প্লাস্টিক, সিনথেটিক, গাম, বুট জুতা তৈরির কেমিক্যাল ছিল। যার কারণে আগুন দ্রæত ছড়িয়ে পড়ে। পরে ফায়ার সার্ভিসের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তিনি আরো বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্য বহুতল ভবনটিতে কোনো অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না। এমনকি ভবন নির্মাণের সময়ও যথাযথ নিয়ম মানা হয়নি। যার কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় লেগেছে।
পুলিশ জানায়, সেখানে গার্মেন্ট কারখানার মালামাল রাখা হয়। পয়লা বৈশাখে ছুটি থাকায় সেখানে লোকজন ছিল না। কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে উৎসুক জনতার কারণে উদ্ধার অভিযানে বেশ বিপত্তি পোহাতে হয়েছে। এ ছাড়া ওপরের তলাগুলো ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা পানি দিয়ে ভিজিয়ে দেয়ায় ওপরের তলায় আগুন ছড়াতে পারেনি।
স্থানীয় সূত্র জানায়, নজরুল ইসলাম খান ও নূর উদ্দিন খান নামের দুই ব্যক্তি যৌথভাবে ওই ভবনের মালিক। ৬ তলা ফ্লোরটি পাপ্পু নামের একজন জ্যাকেট, কম্বল ও মশারির গোডাউন হিসেবে ব্যবহার করেন। তবে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। বাবু নামের স্থানীয় একজন জানান, ভবনটি ৯ তলা। এর ওপরে আরো অর্ধেক স্থাপনা করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় পাঁচ বছর আগে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভবনটি সিলগালা করা হয়। এরপর ভবন মালিক গার্মেন্ট না করে গোডাউন হিসেবে ভাড়া দেন।
গতকাল সোমবার দুপুরে ভবনটি পরিদর্শনে আসেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের অতিরিক্ত পরিচালক আনোয়ার হোসেন। পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা দ্রুত উপস্থিত হয়ে কাজ শুরু করায় ওপরের তলায় আগুন ছড়াতে পারেনি। আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এ দিকে অগ্নিকাণ্ডের পর বিজিএমইএর প্রতিনিধি হিসেবে ইয়াং ফোর এভার টেক্সটাইল লিমিটেডের মালিক রাজীব চৌধুরী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের বলেন, অগ্নিকাণ্ডের পর বেশ কিছু টেলিভিশন ও অনলাইন পোর্টালে গার্মেন্টে আগুন লেগেছে বলে সংবাদ এসেছে। তা দেখে বিদেশের বায়াররা আমাদের ফোন দিচ্ছেন। এ কারণেই বিজিএমইএর প্রতিনিধি হিসেবে আমি এসেছি। আসার পর দেখেছি যে, এখানে কোনো গার্মেন্ট নেই। একটি গোডাউনে আগুন লেগেছিল।
মগবাজারে গ্যারেজে থাকা গাড়িতে আগুন
রাজধানীর মগবাজার কাজী অফিস গলির ১১৬ নম্বর বাড়ির বেজমেন্টে একটি গাড়িতে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। গতকাল বেলা ৩টার দিকে এ আগুন লাগে। বিকেল সোয়া ৪টার দিকে আগুন নেভানো হয়। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। আগুনের কারণ জানা যায়নি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা