১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`

টাওয়ার শেয়ার বিক্রি করে আয় ২১৫ কোটি টাকা একীভূত হওয়ার পর প্রথম মুনাফায় ফিরল রবি

-

২০১৮ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে ৯৬ কোটি টাকা লোকসান সত্ত্বেও বছর শেষে রবির মুনাফা দাঁড়িয়েছে ২১৫ কোটি টাকা। টাওয়ার কোম্পানির শেয়ার বিক্রি করেই এ মুনাফা পেয়েছে অপারেটরটি। ২০১৬ সালে এয়ারটেল-এর সাথে একীভূত হওয়ার পর একীভূত কোম্পানি হিসেবে এই প্রথম মুনাফার দেখা পেল রবি।
গতকাল প্রকাশিত প্রতিবেদনে অপারেটরটি জানায়, ২০১৮ সাল শেষে রবির মোট গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ৬৯ লাখ, যা দেশের মোট মোবাইল ফোন গ্রাহকের ২৯ দশমিক ৯ শতাংশ। এদের মধ্যে ৬০ দশমিক ৪ শতাংশ গ্রাহক ইন্টারনেট ব্যবহার করেন।
চতুর্থ প্রান্তিকের ১ হাজার ৭৬৪ কোটি টাকাসহ ২০১৮ সালে রবির মোট আয়ের পরিমাণ ৬ হাজার ৭৯৮ কোটি টাকা। তৃতীয় প্রান্তিক থেকে চতুর্থ প্রান্তিকে আয় বৃদ্ধির হার শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ। ২০১৭ সালের চতুর্থ প্রান্তিকের তুলনায় ২০১৮ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে রবির মোট আয় ৫ দশমিক ১ শতাংশ কমেছে।
২০১৮ সালে তৃতীয় প্রান্তিকের তুলনায় চতুর্থ প্রান্তিকে ভয়েস কল থেকে রবির আয় ১ দশমিক ১ শতাংশ কমেছে। তবে ২০১৭ সালের চতুর্থ প্রান্তিকের তুলনায় ২০১৮ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে ভয়েস থেকে আয় ১১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ৪.৫জি নেটওয়ার্কের দ্রুত সম্প্রসারণের ফলে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ডেটা থেকে আয় ১৪ দশমকি ৯ শতাংশ এবং আগের প্রান্তিকের তুলনায় আয় ৬ দশমিক ৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
২০১৮ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে ২৮ দশমিক ১ শতাংশ মার্জিনসহ রবির ইবিআইটিডিএ দাঁড়িয়েছে ৪৯৬ কোটি টাকা, যা একই বছরের তৃতীয় প্রান্তিকের তুলনায় ৫ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি।
২০১৮ সালের চতুর্থ প্রান্তিকের ৬৭৫ কোটি টাকাসহ পুরো বছরে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে মোট ৩ হাজার ৭৯ কোটি টাকা জমা দিয়েছে রবি।
নেটওয়ার্কের মান উন্নয়নে ২০১৮ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে রবির মূলধনী বিনিয়োগের পরিমাণ ৫৮৬ কোটি টাকা। এ খাতে ব্যাপক বিনিয়োগ হওয়ায় ২০১৮ সালের মোট মুলধনী বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৮৮ কোটি টাকায়।
রবির ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘৪.৫জি সেবায় ব্যাপক বিনিয়োগের ফলে ডেটা থেকে রাজস্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু ওভার-দ্যা-টপ মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার বৃদ্ধির ফলে ভয়েস সেবা থেকে যে রাজস্ব কমেছে ডেটা সেবায় মাত্রাতিরিক্ত প্রতিযোগিতা থাকায় সে ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব হয়ে উঠছে না।
প্রতিবেদনে সরকারের কাছে তারা আবেদন জানান, টেলিযোগাযোগ খাতের টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে যাতে ডেটা সেবার ক্ষেত্রে একটি ন্যূনতম মূল্য নির্ধারণ করে দেয়া হয়।


আরো সংবাদ



premium cement