২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`
অমর একুশে

সম্ভাব্য ঝুঁকি বিবেচনায় নিñিদ্র নিরাপত্তা

-

অমর একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপনকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তাহীনতার কোনো শঙ্কা নেই। তবে সব সম্ভাব্য ঝুঁকি বিবেচনায় নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। ২১ ফেব্রুয়ারির নিরাপত্তায় ঢাকায় প্রায় ১৬ হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে। যার মধ্যে শহীদ মিনারকেন্দ্রিক থাকবে ৬ হাজার পুলিশ। এছাড়া র্যাব ও অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা তাদের সর্বোচ্চ দিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে প্রস্তুত থাকবে। গতকাল পৃথকভাবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাবের ডিজি বেনজীর আহমেদ ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, শহীদ মিনারের নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিতে যা প্রয়োজন তার সব করা হচ্ছে। শহীদ মিনারে ও আশপাশ এলাকায় পুলিশের চেকপোস্ট বসানো হবে। শহীদ দিবসের আগের দিন গোটা এলাকা সুইপিং করবে ডগ স্কোয়াড। এ ছাড়া একুশে ফেব্রুয়ারির দিন ডগ স্কোয়াড, মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ, সোয়াট এবং বোম্ব ডিস্পোজাল ইউনিট প্রস্তুত রাখা হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, একুশে ফেব্রুয়ারি ঘিরে জঙ্গি হামলার কোনো আশঙ্কা নেই। শহীদ মিনারের নিরাপত্তা নিয়ে ঢাবি, ডিএমপি ও সিটি করপোরেশন একাধিকবার সমন্বয় সভা করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ঘিরে চার স্তরের নিরাপত্তা বলয় থাকবে। সিসিটিভির আওতায় থাকবে পুরো এলাকা। বুধবার রাতে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রী, বিদেশী কূটনৈতিক ও ভিআইপিদের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাধারণদের জন্য উন্মুক্ত করা হবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। তবে সাধারণ নাগরিকদের সবাইকে পলাশী হয়ে শহীদ মিনারের প্রবেশ করতে হবে। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে দোয়েল চত্বর ও চানখাঁরপুল হয়ে বেরিয়ে যাবেন। শহীদ মিনারের প্রবেশ পথে থাকবে আর্চওয়ে গেট। আগতদের প্রত্যেককে মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে তল্লাশি করা হবে। পোশাকধারীর পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। তিনি সর্বসাধারণের উদ্দেশে বলেন, শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে কোনো ধরনের ব্যাগ, ছুরি-কাঁচি, চাকু ও দাহ্য পদার্থ আনবেন না।
তিনি বলেন, ২০ তারিখ সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও স্টিকারবাহী গাড়ি ছাড়া বহিরাগত কেউ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রবেশ করতে পারবে না। এছাড়া স্টিকার ছাড়া কোনো যানবাহনকে এ এলাকায় প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। তিনি আরো বলেন, শহীদ মিনার একটা পবিত্র জায়গা। এর পবিত্রতা রক্ষা করতে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। কোনো সংস্থা বা কাউকে বাণিজ্যিকীকরণের উদ্দেশ্যে কোনো ধরনের ব্যানার ফেস্টুন ব্যবহার করতে দেয়া হবে না।
র্যাব ডিজি বেনজীর আহমেদ বলেন, মহান শহীদ দিবসকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তাহীনতার কোনো শঙ্কা নেই। তবে সম্ভাব্য ঝুঁকি বিবেচনায় নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, একুশের রাতে শান্তিপূর্র্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে শ্রদ্ধা নিবেদন নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেবে র্যাব। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরসহ সারা দেশের সংশ্লিষ্ট শহীদ মিনারগুলোতে নিরাপত্তা নিশ্চিতে র্যাব দায়িত্ব পালন করবে। কেউ যেন নিরাপত্তার বিঘিœত করতে না পারে এবং কেউ যেন শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজ না করতে পারে সেজন্য র্যাব প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, শহীদ মিনার ও পুরো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় র্যাবের নিরাপত্তা বলয় থাকবে। এ ছাড়া র্যাবের ফুট পেট্রোল, মোবাইল পেট্রোল, অবজারভেশন পোস্ট ও সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। ২০ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা থেকে একুশের দুপুর পর্যন্ত নিরাপত্তা বলবত থাকবে। ইতোমধ্যে শহীদ মিনার ও বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় র্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি শুরু হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement