২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

বর্তমান সরকারের আমলে নারী ও শিশুরা নির্যাতিত হচ্ছে : ড. মোশাররফ

জাতীয় প্রেস ক্লাবে গতকাল বিএনপির (মহিলা বিষয়ক সম্পাদক) আলোচনা সভা : নয়া দিগন্ত -

একজন নারী প্রধানমন্ত্রী আরেকজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে কারাগারে নির্যাতন করছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
গতকাল দুপুরে এক আলোচনা সভায় তিনি এই অভিযোগ করেন।
ড. মোশাররফ বলেন, যিনি বাংলাদেশে নারী ক্ষমতায়নের জন্য এত ভূমিকা রেখেছেন, বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হয়ে এ দেশে নারীর ক্ষমতায়ন হয়েছে সেটা নিজে প্রমাণ করেছেন। আজকে দুর্ভাগ্য সেই নেত্রী, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আজকে কারাগারে। কেন, সেটা সকলেই আমরা জানি। এতিমের ফান্ড যেখানে বৃদ্ধি পেয়েছে, যেখনে একটি পয়সাও বেহাত হয়নি তার জন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে অন্যায়ভাবে কারারুদ্ধ করা হলো, দণ্ড দেয়া হলো। একবছর পার হয়ে গেল, এখন পর্যন্ত নানা অজুহাতে তাকে কারারুদ্ধ রাখা হয়েছে, জামিন দেয়া হলো না।
তিনি বলেন, এটাকে কী বলা যায়? এটা নির্যাতন। একজন নারী প্রধানমন্ত্রী আরেকজন সাবেক নারী প্রধানমন্ত্রীকে নির্যাতন করছেন।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির উদ্যোগে নারী ও শিশু নির্যাতন : প্রতিরোধ ও প্রতিকার শীর্ষক এ আলোচনা সভা হয়। এতে মূলপ্রবন্ধ পাঠ করেন দলের প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক রাশেদা বেগম হীরা। মহিলা দল বিষয়ক সম্পাদক নুরী আরা সাফার সভাপতিত্বে ও মহিলা দলের নেত্রী হেলেন জেরিন খানের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য অধ্যাপক শাহিদা রফিক, কেন্দ্রীয় নেত্রী নেওয়াজ হালিমা আরলী, শাহিনা খান, মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
ড. মোশাররফ অভিযোগ করে বলেন, শেখ হাসিনার আমলে আজকে মহিলা নেত্রী, সাধারণ নারী ও শিশুরা নির্যাতিত হচ্ছে। গত ১২ বছরের চিত্র যদি তুলনা করি সর্বক্ষেত্রে দেখা যাবে শুধু অবক্ষয়। এটা হয়েছে এ জন্য যে, বাংলাদেশে গণতন্ত্র নেই। এর থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে সমাজে একটি গণতান্ত্রিক পরিবেশ থাকতে হবে, মানুষের অধিকার থাকতে হবে, কথা বলার অধিকার থাকতে হবে। আমরা যে শাসনমালে এসে উপস্থিত হয়েছি এটা কোনো গণতান্ত্রিক সরকারের কোনো সংজ্ঞায় পড়ে না।
সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বিচারালয় আজকে শুধু ক্ষমতার জন্য তাদের নিয়ন্ত্রণে। এখানে মানুষ বিচার পায় না। দেশে আজকে স্বৈরাচারী সরকার, একনায়কত্বের সরকার। স্বৈরাচার থেকে দেশকে মুক্ত করতে হবে, গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে হবে। গণতন্ত্রের মাতা হচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া। তাকে বন্দী রেখে গণতন্ত্রকে মুক্ত করা সম্ভব নয়। অতত্রব আমাদের সকলকে, এ দেশে সকল জাতীয়তাবাদী শক্তিকে সোচ্চার হয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। তার দায়িত্বটা কিন্তু বিএনপির।
দলকে সংগঠিত করতে দলের পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার প্রসঙ্গ টেনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, দল পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া চলছে। যেখানে যা দুর্বলতা আমাদের আছে সেগুলোকে সংশোধন করে দ্রুত কাটিয়ে উঠে শক্তি সঞ্চয় করে গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করব, দেশনেত্রীকে মুক্ত করব, স্বৈরাচারের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করবে। তাহলে দেশে নারী ও শিশু নির্যাতন ও নিপীড়ন-গুম-খুন-লুটপাট সব কিছু থেকে জাতিকে মুক্ত করতে পারব।


আরো সংবাদ



premium cement